images

রাজনীতি

বন্যার্তদের ১০০ টন খাবার ও চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ জুন ২০২২, ১১:০৮ পিএম

সিলেট-সুনামগঞ্জসহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পানি না নেমে যাওয়া পর্যন্ত ১০০ টন চিড়া, গুড়, বন রুটি, টোস্ট বিস্কুটসহ শুকনো খাবার বিতরণ করবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। সেই সঙ্গে পানি নেমে যাওয়ার পর গরিব-অসহায় পরিবারদের পুনর্বাসনেও সহযোগিতা করবে সংস্থাটি।

শনিবার (১৮ জুন) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টানা অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে বৃহত্তর সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন অঞ্চল ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এমতাবস্থায় সিলেট বিভাগের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দুটি উপকেন্দ্রের মধ্যে জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার নওধার গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতালও বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলাবাজার গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালের আশপাশের গ্রামগুলোও বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

এমতাবস্থায় গতকাল শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুরে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকা থেকে ৫ টন চিড়া এবং ১ টন গুড় সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার নওধার গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র ও সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলাবাজার গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালের আশপাশের গ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়া শনিবার থেকে বন্যাকবলিত এলাকায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দুটি মেডিকেল টিম চিকিৎসা সেবা দেবে। তারা ইতোমধ্যেই ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়ে শনিবার সিলেট ও সুনামগঞ্জে পৌঁছেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, পাগলাবাজার উপকেন্দ্রের সামনের মূল সড়ক প্রায় ডুবুডুবু অবস্থায় আছে। আর কিছু সময় অতিবাহিত হলেই রাস্তা ডুবে হাসপাতালে পানি ঢুকে পরার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে বন্যায় প্লাবিত আশপাশের গ্রামের লোকজন বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, মাদরাসা-মসজিদসহ যাদের দোতলা বাড়ি রয়েছে- সেসব জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। এর পাশাপাশি পাগলাবাজার গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতালেও প্রায় দুই হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। পাশাপাশি এখনো লোকজন আশ্রয়ের জন্য হাসপাতালে আসা অব্যাহত রেখেছেন।

সৃষ্টিলগ্ন থেকেই বিভিন্ন দুর্যোগের সময় মানুষের প্রতি গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র বিনামূল্যে চিকিৎসা ও খাদ্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে আসছে। বর্তমান বন্যায়ও পানিবন্দি মানুষের দুই বেলা খাবার ও চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থায় সংগঠনটি কাজ করে যাচ্ছে।

টিএই/আইএইচ