জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
২০ মে ২০২৫, ০৫:২০ পিএম
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০মে) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দল ও অঙ্গসংগঠনের যৌথ সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ২৬ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত আট দিনের এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
যৌথ সভায় ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যিনি বর্তমানে থাইল্যান্ডের ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী, আবদুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচি সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ‘যেহেতু ৭ জুন কোরবানির ঈদ। সেজন্য আমাদের কর্মসূচি কিছুটা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। কর্মসূচি হবে আট দিনব্যাপী। অর্থাৎ ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত।’
এর মধ্যে ৩০ মে সকাল সাড়ে ১০টায় শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি আলোচনা সভা, দুস্থদের মধ্যে চাল, ডাল, বস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে।
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দুই দিন নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির পতাকা অর্ধনমিত রেখে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে।
বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো জিয়াউর রহমানকে নিয়ে পোস্টার প্রকাশ করবে এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের ব্যবস্থা নেবে দলটি।
কর্মসূচির মধ্যে আছে, ২৯ মে বিকাল তিনটায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা, ৩০ মে সকাল সাড়ে ১০টায় শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন এবং মসজিদে মসজিদে গণদোয়া প্রভৃতি।
ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের উদ্যোগে বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডে দুঃস্থদের মধ্যে চাল-ডালসহ বস্ত্র বিতরণ করা হবে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ছাড়াও সারাদেশে জেলা ও উপজেলা-থানা-পৌর ইউনিটগুলোও জিয়াউর রহমানের স্মরণে আলোচনা সভা, দুঃস্থদের মধ্যে খাবার ও বস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি করবে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে একদল সেনা সদস্য। এরপর সেনাপ্রধান হন জিয়াউর রহমান। ওই বছরের ৭ নভেম্বর ‘সিপাহি-জনতার বিপ্লবের’ পর রাষ্ট্রপতি বিচারপতি এএসএম সায়েমের নেতৃত্বে উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করেন।
জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন ১৯৭৮ সালের ২১ এপ্রিল। এই দায়িত্বে থাকাকালীন ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক দল সৈন্যের গুলিতে নিহত হন তিনি। বিএনপি দিনটি তার ‘শাহাদাৎ দিবস’ হিসেবে পালন করে।
বিইউ/এএইচ