images

রাজনীতি

শুধু কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভিত্তিতে নিবন্ধন চায় বিপ্লবী গণজোট

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ মে ২০২৫, ০২:১৫ পিএম

রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে শুধু কেন্দ্রীয় কার্যালয় আমলে নিয়ে দলের নিবন্ধন দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিপ্লবী গণজোট।

মঙ্গলবার (২০ মে) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিপ্লবী গণজোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনেম এমন দাবির কথা বলেন।

অনিবন্ধিত সাতটি নতুন দল নিয়ে এ জোট গঠন হয়েছে। নভেম্বরে গঠিত নতুন এ জোটের মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি, বাংলাদেশ গ্রিন পার্টি, বিপ্লবী গরিব পার্টি, বাংলাদেশ সর্বজনীন দল, বাংলাদেশ পিস ফোরাম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল ও প্রয়াত নেতা স্মৃতি সংসদ।

সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলের আরও ছিলেন সর্বজনীন পার্টির সভাপতি নূর মোহাম্মদ মনির, গরিব পার্টির সভাপতি দিদার হোসেন, পিস ফোরামের আহ্বায়ক জসীম উদ্দিন রাজা, স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক অলক চৌধুরী, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের পলিটব্যুরোর সদস্য আহমদ হোসেন ভূইয়া ও গ্রিন পার্টির মো. মোজাম্মেল হক।

বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনেম সাংবাদিকদের বলেন, এক-এগারোর সরকার নিবন্ধন আইন নামে জঘন্য আইন চালু করেছিল। এ নিয়ে আমরা আন্দোলন করে আসছি। শেখ হাসিনা সরকার এসে সেই নিবন্ধন প্রক্রিয়া আরও কঠিন করেছিল। এতে রাজনীতিকে এমন একটা কঠিন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যে, একটা দল চালাতে মাসে কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকা লাগবে। আমরা সেটার প্রতিবাদ করছিলাম। আজকে সে নিয়ে কথা বললাম।

এই নেতা বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে একটা কমিটির বা অফিসের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন হয়। এমনকি ভারতেও কেন্দ্রীয় অফিস ও গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে নিবন্ধন হয়, দেশটিতে প্রায় আড়াই হাজার দল আছে। আমেরিকাতেও একই অবস্থা। কেন্দ্রীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় অফিস ও গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে দেশটিতে নিবন্ধন হয়। ব্রিটেনেও একই অবস্থা। তাদের রাজনীতি করতে অসুবিধা নেই। বাংলাদেশে এই অবস্থা করা হয়েছে একটি কারণে, যাতে করে বাংলাদেশে ভারতের একটা অঙ্গরাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা যায়। সে উদ্দেশ্য নিয়ে আইনটা করা হয়েছিল। আমরা এটা কীভাবে রিপ্লেস করে করা যায়, ৭৮ সাল পর্যন্ত যেটা ছিল- কেন্দ্রীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় অফিসের ভিত্তিতে নিবন্ধন দেওয়া হতো, আমরা সেটা চেয়েছি। বলা হয় নিবন্ধনের শর্ত সহজ হলে ব্যঙের ছাতার মতো দল গঠে ওঠবে। কিন্তু আমরা বলেছি, ভোটব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, মানুষ ভোট দিতে যেতে চায় না। তারা বিশ্বাস করে তাদের ভোট ছাড়াই কেউ না কেউ পাশ হয়ে যাবে। তাই আমরা বলেছি জামানত প্রথার পরিবর্তে প্রার্থিতা ফি নির্ধারণ করার জন্য, যা অফেরতযোগ্য হবে।

আবদুল মোনেম বলেন, আমরা বলেছি প্রচারের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে কেউ প্রচার চালাতে পারবে না। করলে প্রার্থিতা বাতিল, পোস্টারিং ইসি করবে, একই পোস্টারে সকল প্রার্থী থাকবে। একই মঞ্চে সকল প্রার্থী নিয়ে সভার আয়োজন করবে ইসি। নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছু দলের মেনুফেস্টু নিয়ে একাট বই করতে হবে, হলফনামা নিয়ে একটি বই করতে হবে, যা প্রত্যেক পরিবারকে পৌঁছে দেবে। এতে প্রার্থী ও দল নিয়ে ভোটাররা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এনআইডির ভিতিত্তে ভোটার কার্ড তৈরি করতে হবে। ভোটার কার্ড জমা দিয়ে ব্যালট নেবে ভোটার। এতে একজনের ভোট আরেকজন দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে না। এতে সর্বোচ্চ ৯০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। প্রার্থীরা হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে। এতে অযোগ্য, দেশবিরোধী, লুটেরারা নির্বাচিত হয়। এ ধরনের নির্বাচনব্যবস্থা কায়েম করলে সেটা আর থাকবে না। আমাদের প্রস্তাবগুলোর মধ্যে কোনো কোনো বিষয় পাইলটিং হিসেবে নেবে বলে জানিয়েছে কমিশন।

এমএইচএইচ/জেবি