images

রাজনীতি

নগর ভবনে আজও ইশরাক অনুসারীদের বিক্ষোভ, যানজটে স্থবির চারপাশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

২০ মে ২০২৫, ১২:০২ পিএম

ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে নগর ভবনের সামনে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। আগের দিনগুলোর মতো ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নগর ভবনের সামনে এসে জড়ো হয়েছেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের লোকজন। এতে আশপাশের সড়কে যানজট বাড়ছে৷ ফলে মানুষের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।

মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ১০টা থেকেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের সামনে আসতে শুরু করে  ঢাকা মহানগরের আন্দোলনকারীরা। নগর ভবনের সামনেই অবস্থান নেন তারা। সেখান থেকে ইশরাক হোসেনকে অবিলম্বে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে নানাবিধ শ্লোগান দিতে থাকেন তারা। একইসঙ্গে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পদত্যাগও দাবি করেন তারা। গুলিস্তান-বঙ্গবাজার সড়ক বন্ধ করে দিয়ে 'ঢাকাবাসী'র ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

আরও পড়ুন

আন্দোলনকারীদের প্রতি যে অনুরোধ করলেন ইশরাক

এসময় তারা- ‘অবিলম্বে ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দাও, দিতে হবে’, ‘দফা এক দাবি এক, আসিফের পদত্যাগ’, ‘আসিফ ভূঁইয়ার কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘শপথ নিয়ে তালবাহানা, চলবে না চলবে না’সহ বিভিন্ন শ্লোগানে প্রকম্পিত করে তোলেন নগর ভবনের সামনের এলাকা।

Ishraq22

একই সঙ্গে পঞ্চম দিনের মতো অবরুদ্ধ আছে নগর ভবন। সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ।

এর আগে গতকাল সোমবার ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারী। সোমবার সকাল থেকেই নগর ভবন এলাকায় জড়ো হতে থাকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নগরবাসী। বেলা ১১টার কর্মসূচির আগে থেকেই নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। পরে বঙ্গমার্কেট এলাকা ব্লকেড করেন তারা। একই সাথে গোলাপ শাহ মাজারের রাস্তাটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। কার্যত সকাল থেকেই অচলাবস্থা ছিল নগর ভবন, পুলিশ হেডকোয়ার্টারসহ আশপাশের এলাকা।

আরও পড়ুন

দাবির ভার সইতে পারছে না রাজধানী!

এর আগে গত শনিবার এবং রোববার সচিবালয় অভিমুখে হাজার হাজার নগরবাসীর অংশগ্রহণে বিক্ষোভ কর্মসূচিও পালন করেন আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, আদালতের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ অন্তর্বর্তী সরকারকে বিতর্কিত করছেন। ইশরাক হোসেনকে মেয়রের শপথের আগ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা তাদের।

বিইউ/জেবি