জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৯ মে ২০২৫, ০২:৫৫ এএম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘গুলি করে আমাদের থামাতে পারবেন না। আমরা দেশের জন্য জীবন ওয়াকফ করে দিয়েছি।’
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে সড়কে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দাবি করেন, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লেখেন, ‘সপ্তাহখানেক আগেই প্রক্রিয়া শুরু করে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে এখন তা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।’
এই খবরে প্রতিক্রিয়ায় হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নিষিদ্ধ করার প্রহসন মেনে নেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী ও ফ্যাসিস্ট সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিষিদ্ধ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইসিটি আইনে দল হিসেবে বিচার করার বিধান অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। খুন, দমন-পীড়ন ও দুর্নীতির জন্য দলীয় কাঠামোকে দায়ী করে বিচার নিশ্চিত না হলে প্রকৃত বিচার সম্ভব নয়।’
এদিকে, গণহত্যাকারী হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করা এবং দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ শীর্ষ নেতারা। রাত পৌনে ১টার দিকে তারা মিছিল নিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, শিবিরের দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা, এবং আপ বাংলাদেশের আলী হাসান জুনায়েদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
স্লোগানে মুখর যমুনার আশপাশ
অবস্থান কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের বিভিন্ন স্লোগানে পুরো এলাকা মুখর হয়ে ওঠে। স্লোগানগুলো ছিল—‘ব্যান করো, ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’, ‘দিল্লি না, ঢাকা – ঢাকা ঢাকা’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে?’, ‘গোলামি না, আজাদী – আজাদী আজাদী’, ‘নাহিদ, আখতার আসছে – রাজপথ কাঁপছে’, ‘একটা একটা ছাত্রলীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’ ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও ঘুরিয়ে দাও’ ‘২৪ বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’।
আরও পড়ুন—
যমুনার চারপাশের সড়কে ব্যারিকেড
অবস্থান কর্মসূচির কারণে যমুনার সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি কাকরাইল মসজিদের সামনে, ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ের সামনের সড়ক, ইস্কাটন গার্ডেন থেকে যমুনার দিকে আসার পথ এবং ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের পাশের সড়কেও ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ গণমাধ্যম ও আন্দোলনকারীদের ব্যতীত কাউকে যমুনার দিকে যেতে দিচ্ছে না।
বিইউ/একেবি