নিজস্ব প্রতিবেদক
২২ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৫ পিএম
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেছেন, এই সরকার ব্যর্থ হলে আরেকটি এক-এগারো ফিরে আসবে। যার ভুক্তভোগী হবে রাজনৈতিক দল ও জনগণ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে এই ষড়যন্ত্র আরও ঘনীভূত হবে।
শনিবার (২২ মার্চ) আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় অনেকে গণস্বাক্ষর বইতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে স্বাক্ষর করেন।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের বিষয়ে জিরো টলারেন্স। কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। অবশ্যই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা সে পথে না হেঁটে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন। জনগণ তার বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলব, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে জাতীয় সংলাপ ডাকুন। আমরা দেখতে চাই কারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ চায় না। আমরা মনে করি, সব দল জনগণের সেন্টিমেন্টের আলোকে সিদ্ধান্ত জানাবে। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করে কারও পক্ষে রাজনীতি করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু ছাত্রনেতারা দল গঠন করেছে, সুতরাং সরকারে থাকা ছাত্রনেতারা পদত্যাগ না করলে সরকারের নিরপেক্ষতা নষ্ট হবে। অনেকেই এখন সরকারের নিরপেক্ষতার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের আহ্বান করছে। আমরা মনে করি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব পক্ষকে নিয়ে ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা দরকার।
গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন- গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সভাপতি ফারুক হাসান, গণঅধিকার পরিষদ উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এমই/ইএ