বৃহস্পতিবারের কার্যতালিকায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের রিভিউ আবেদন

মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের রিভিউ আবেদন বৃহস্পতিবার (২০ ফ্রেব্রুয়ারি) শুনানির জন্য কার্যতালিকায় এসেছে। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আপিল বিভাগের বৃহস্পতিবারের কার্যতালিকায় রিভিউ আবেদনটি শুনানির জন্য ৮ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।

আদালতে জামায়াত নেতা আজহারের পক্ষে শুনানি করবেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। 

এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি পিছিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চে এক বিচারপতি না থাকায় আদালত শুনানির দিন পিছিয়ে দেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এটিএম আজহারের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। বেশ কদিন ধরে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে তার মুক্তির দাবি জানালেও মঙ্গলবার দেশব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভ মিছিল করে দলটি। সারাদেশে লাখ লাখ নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় এই কর্মসূচি থেকে এটিএম আজহারকে মুক্তি দিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়। এরই মধ্যে তার রিভিউ আবেদন বৃহস্পতিবারের কার্যতালিকায় আসার কথা জানা গেল। দলটির নেতাকর্মীদের আশা, এটিএম আজহার জামিনে মুক্ত হবেন।

২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। 

তখনকার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে ১২৫৬ ব্যক্তিকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শতশত বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো নয় ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের মধ্যে ১ নম্বর বাদে বাকি পাঁচটি অভিযোগে তাকে ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দেন। যদিও এটি প্রহসনের রায় বলে আখ্যায়িত করে আসছে জামায়াতে ইসলামী।

২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে জামায়াত নেতা আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করা হয়। 

এআইএম/ইএ