নিজস্ব প্রতিবেদক
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৫ পিএম
‘স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও ভারত বন্ধুত্বের পরিচয় দিতে পারেনি। ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে শুকনো মৌসুমে পানি বন্ধ করে রাখা আর বর্ষাকালে পানি ছেড়ে দিয়ে বন্যার সৃষ্টি করা, সীমান্তে বাংলাদেশিদের পশুর মত হত্যা করা কখনো বন্ধু রাষ্ট্রের ভূমিকা হতে পারে না।’
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা ভারতকে রাষ্ট্র হিসেবে কখনো আমাদের শত্রু মনে করি না। ভারতের শাসক গোষ্ঠী আমাদের সার্বভৌমত্বে বারবার আঘাত দেওয়ার চেষ্টা করেছে এবং আমাদের সাথে শত্রুর মত আচরণ করে আসছে। ভারত কখনো চায়নি বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক।
সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, যাদের সাহায্যে আমরা স্বাধীন হয়েছি বলে প্রচার করা হয়, তারা মূলত দু’টি কারণে সহযোগিতা করেছে। প্রথমত, ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের কাছে ভারতের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেবার জন্যই তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে অস্ত্র দিয়ে, সৈন্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে। দ্বিতীয়ত, চতুর্দিকে ভারত আর তার পেটের মধ্যে বাংলাদেশ। এই ভূমি পাকিস্তান থেকে আলাদা করতে পারলে, ভারত নিজের অঙ্গরাজ্যের মত করে ব্যবহার করতে পারবে। এ দু’টি কারণেই তারা বন্ধু সেজেছে।
তিনি আরও বলেন, ১৪ ডিসেম্বর তারা বেছে বেছে জাতির সূর্য সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ড কারা ঘটিয়েছে সেটি জাতির সামনে এখনো প্রকাশ করা হয়নি। এখনো সময় আছে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করতে হবে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী জহির রায়হান একটি ডকুমেন্টারি তৈরির কাজ শুরু করছিলেন। হঠাৎ করে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। আজ পর্যন্ত তার কিংবা তার ডকুমেন্টারির কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য উদঘাটনের জন্য জহির রায়হানের ডকুমেন্টারি উদ্ধারের প্রয়োজন রয়েছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় আয়োজিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, মো. কামাল হোসাইন, ড. আব্দুল মান্নান, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক নূর নবী মানিক প্রমুখ।
এমই/এফএ