images

রাজনীতি

সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দেবে সরকার, আশা জামায়াতের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ পিএম

দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ১৩ বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা আনুষ্ঠানিক বৈঠক করলেন। বৈঠকে জামায়াতের শীর্ষ নেতারা আশা প্রকাশ করে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যৌক্তিক সময়ে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরের সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।

বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) জামায়াতের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে জামায়াত নেতারা এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।

সভায় জামায়াত আমির বলেন, দীর্ঘ তের বছর পর আজ আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক করতে পেরে আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় করছি, আলহামদুলিল্লাহ। আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির শহীদ অধ্যাপক গোলাম আযম, শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, মরহুম মকবুল আহমাদ, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, মাওলানা আবদুস সোবহান, অধ্যাপক এ কে এম নাজির আহমাাদ, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল শহীদ আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, শহীদ কামারুজ্জামান, শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা, শহীদ মীর কাসেম আলীসহ সকল শহীদদের, যারা ইসলামী আন্দোলনের জন্য নিজেদের জীবনকে অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন। আমরা আরও স্মরণ করছি দ্বিতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের বীর শহীদদের। আল্লাহ প্রত্যেককে শাহাদাতের মর্যাদা দান করুন। যারা এ আন্দোলনে আহত হয়েছেন, চোখ হারিয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে সুস্থতার নিয়ামাত দান করুন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার গত দেড় যুগ ধরে বিরোধী মতের লাখ লাখ মানুষের ওপর হত্যা, গুম, জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। এ জুলুমের সবচেয়ে বড় শিকার হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। স্বৈর শাসনামলে দেশের মানুষের ভোটাধিকার, মৌলিক নাগরিক অধিকার, বিরোধী মতের সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী সরকার দেশের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা আশা করি অন্তর্বর্তী সরকার যৌক্তিক সময়ে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরের সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।

দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশ পুনর্গঠনে জামায়াতকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে বলেও জানান আমিরে জামায়াত।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন— সংগঠনের নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ও মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, মাওলানা মুহাম্মাদ শাহজাহান, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, অধ্যক্ষ সাহাবুদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ, মোবারক হোসাইন ও আবদুর রব। 
 
বিইউ/এএস