images

রাজনীতি

নেতাকর্মীদের সতর্ক করলেন বিএনপির ঢাকার নেতারা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১৫ আগস্ট ২০২৪, ০৮:০২ পিএম

লুটপাট-নৈরাজ্য বন্ধে বিএনপি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বন করছে এমন দাবি করে দলটির ঢাকার নেতারা বলছেন, সারাদেশে সংঘটিত নানা নৈরাজ্য, হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, দখল, চাঁদাবাজির ঘটনা থেকে দলকে দূরে রাখতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সবকিছুতে তীক্ষ্ণ নজরদারি করা হচ্ছে। কেউ অপরাধে জড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে সায়েন্সল্যাব, ধানমন্ডি, শুক্রবাদ, কলাবাগান এলাকায় অবস্থান পরবর্তী পদযাত্রায় নেতারাকর্মীদের উদ্দেশে এমন বার্তা দেওয়া হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম। শান্তি পদযাত্রায় যোগ দেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।

রবিউল আলম বলেন, কোনো অপরাধে কারও নূন্যতম সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন দল ইতোমধ্যেই শুরু করেছে যা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।

শেখ রবিউল আরও বলেন, পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসররা পরিকল্পিতভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, তথা বিজয়ী ছাত্র-জনতার ওপর প্রতিশোধের নীল-নকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে। জনরোষে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নাগরিকদের সম্পদ ও ধর্মীয় উপাসনালয়কে বিশেষভাবে টার্গেট করেছে। পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার লক্ষ্যে সমাজকে বিভক্ত করাই এ মুহূর্তে তাদের ষড়যন্ত্র। তবে বিএনপি এ বিষয়ে সজাগ রয়েছে।

আরও পড়ুন

গুম-খুনের বিচার না হওয়া পর্যন্ত মাঠ ছাড়বে না যুবদল

তিনি বলেন, দলের নাম ব্যবহার করে কেউ যদি এ ধরনের অপতৎপরতায় জড়িয়ে পড়ে, তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও তা নেওয়া অব্যাহত থাকবে।

180d33a5-8d42-4c7e-8ee1-e46a5c9cc420

তিনি নেতাকর্মীদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে ইতোমধ্যেই বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শোকজ করা হয়েছে আরও বেশ কয়েকজনকে। অতএব সাবধান কেউ এসবে জড়িয়ে যাওয়ার নূন্যতম চেষ্টা করবেন না।

রবি বলেন, কেউ দয়া করে আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। প্রতিহিংসা, প্রতিশোধে লিপ্ত হবেন না। কোনো পরাজিত শক্তি কিংবা কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করতে চাইলে, তাদের আইনের হাতে তুলে দিন। যদি কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, সারাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের একটি গুজব-গুঞ্জন সৃষ্টি করা হচ্ছে ছাত্র-জনতার বিজয়কে বিতর্কিত করার জন্য। আগের মতো বিএনপি'র বিরুদ্ধে এ দোষারোপ করে দেশ-বিদেশে সাম্প্রদায়িক দল বানানোর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর একই ধরনের কাজ করেছিল একটি মহল। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে এবার শুরু থেকেই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি আমরা। তবুও ওই মহলটি একইভাবে মিথ্যা প্রচারণা শুরু করেছে।

ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর ধরে লাগাতার সন্ত্রাস করেছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে বিনা বিচারে হত্যা করেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। এই চোর-বাটপারের দল আ.লীগকে অচিরেই নিষিদ্ধ করতে হবে।

ইশরাক আরও বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর ধরে সন্ত্রাস করেছে। তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এছাড়া, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি ছুড়েছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন দিতে হবে।

বিইউ/এমএইচএম