নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩১ পিএম
জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। সরকার এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে। ইতোমধ্যে দলটি নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে দলটি বলেছে, জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বেআইনি, এখতিয়ার বহির্ভূত ও সংবিধান পরিপন্থী।
বিবৃতিতে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, 'একটি রাজনৈতিক দল বা জোট অন্য একটি রাজনৈতিক দলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। বাংলাদেশের আইন ও সংবিধান কাউকে এ এখতিয়ার দেয়নি।'
কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে দাবি করে জামায়াতের আমির বলেন, 'নিজেদের অপকর্মের দায় এড়াতে সরকার শুরু থেকেই মিথ্যাচার করছে। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে জামায়াত ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপর দোষারোপ করে বক্তব্য দিচ্ছে সরকার।'
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আগেই বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকেই দলটির রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি বিভিন্ন মহল থেকে উঠে আসছে। সবশেষ গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে ১৪ দলের সভায় জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়।
পরে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াত নৈরাজ্যের মাধ্যমে দেশকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। জাতীয় স্বার্থে দেশবিরোধী অপশক্তি নির্মূল করার জন্য ১৪ দলের বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সেতুমন্ত্রী জানান, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন আগামীকাল বুধবারের মধ্যে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে।
জেবি