images

রাজনীতি

জনবিচ্ছিন্ন সরকার সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে গেছে: রিজভী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

২৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:১৯ পিএম

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা জনপদের পর জনপদে শিমুলদের মতো এমপি বানিয়েছেন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে বিএনপি নেতাদের রক্তাক্ত করতে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এবং স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

রিজভী বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের এমপিদের সন্ত্রাসী বাহিনীরা দেশে ভয়াবহ নৈরাজ্যকর ও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ডামি নির্বাচনের পর সরকার সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে। কারণ তাদের সাথে কোনো জনগণ নেই, তাদের কোনো জনগণের ভোটের প্রয়োজন হয় না।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘নাটোরের এমপি শিমুলের সন্ত্রাসী বাহিনীরা ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে হত্যার উদ্দেশে হামলা করেছে, তার ওপর গুলি চালিয়েছে। সে জেলা ছাত্রদল ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি। সরকারবিরোধী আন্দোলন ও সংগ্রামে সে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। আর এ কারণেই ক্ষমতাসীন দলের নেতারা তার ওপর ক্ষুব্ধ। কিন্তু হত্যা করে, নিপীড়ন করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।’

আরও পড়ুন

গুম-খুনের শিকার ২১ কর্মীর পরিবার পেল বিএনপির ঈদ উপহার

বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, গত ১৩ মার্চ নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান ওরফে শাহীনকে (৪২) মাইক্রোবাসের ধাক্কায় ফেলে দেওয়ার পর পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যাচেষ্টা করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা এমপি শিমুলের অনুসারী। ফরহাদ আলী দেওয়ান একটি রাজনৈতিক মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্য ওইদিন দুপুর ১২টার দিকে দায়রা জজ আদালতে আসেন। হাজিরা দেওয়ার পর তিনি মোটরসাইকেলে আদালত থেকে সিংড়ার দিকে রওনা হন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের ফুলবাগান এলাকায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতরের কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি মাইক্রোবাস তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।

তিনি সড়কের পাশে পড়ে গেলে ওই মাইক্রোবাস থেকে সন্ত্রাসীরা নেমে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার বাঁ হাত ভেঙে দেয়। পরে  তার পায়ে তিনটি গুলি করে। খবর পেয়ে বিএনপির দুই কর্মী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে তাৎক্ষণিক রাজশাহীতে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থানান্তর করে  চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বিইউ/জেবি