images

রাজনীতি

গণতন্ত্র ও সত্য নয়, সরকার অন্যায়ের রাজত্ব কায়েম করেছে: রিজভী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৪ পিএম

গণতন্ত্র ও সত্য নয়, সরকার অন্যায়ের রাজত্ব কায়েম করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, দেশ থেকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মুছে ফেলে একনায়কতন্ত্র কায়েম করা হয়েছে। সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্র ও সত্যের বদলে অন্যায়ের রাজত্ব কায়েম করেছে। দেশে মতপ্রকাশ, চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা নেই। 

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। 

রিজভী বলেন, বিরোধীদের ওপর বুলডোজার চালানোর পর ডামি নির্বাচনের মধ্যদিয়ে দেশে চালু হয়েছে এক ব্যক্তির শাসনব্যবস্থা। দেশ এখন তার হাতে জিম্মি। সর্বত্রই বিরাজ করছে ভয়াবহ বিভীষিকা। আওয়ামী লুটেরা, হন্তারক, সন্ত্রাসী, নারী নির্যাতনকারী, খুনি, দখল ও টেন্ডারবাজদের উচ্ছৃঙ্খল উল্লাসের দৃশ্যপট দেশজুড়েই। 

আরও পড়ুন
‘বিকেলের মধ্যে মুক্তি পাবেন ফখরুল-খসরু’

তিনি বলেন, ১৬ বছর ধরে দেশের মানুষ গণতন্ত্র নয়, স্বৈরাচারের নিষ্ঠুর সাজা ভোগ করছে। ভোটাধিকার বঞ্চিত হওয়ার যন্ত্রণা ভোগ করছে। ক্ষুদার জ্বালায় চোখের পানিতে ভাসছে। নিপীড়ন ভোগ করতে করতে মানুষের পিঠ এখন দেয়ালে ঠেকে গেছে। মানুষের ভাষাও হারিয়ে গেছে। অসহিষ্ণুতা, সীমাহীন লোভ আর রাষ্ট্রশক্তিকে আশ্রয় করে সর্বত্রই ফ্যাসিবাদের বিকৃত হিংস্র রূপ প্রকট হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের সীমানায় শুধুই অশান্তির আগুন।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, নির্বাচনের নামে জাল ভোটের প্রতিযোগিতা, শিশু-কিশোর ভোট, রাস্তা থেকে পথিক ধরে নিয়ে ভোট, একই ব্যক্তির ৫০ ভোট, মিনিটে ৫০ ভোট, একই লাইন থেকে ঘুরেফিরে বারবার জাল ভোট দেওয়া হয়েছে। অথচ ভোটের দিন বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোটের ঘোষণা দিলেও  গণভবনের চাপে এক ঘণ্টা পরেই ৪০ শতাংশ দেখানো হয়েছে। পরদিন, অর্থাৎ ৮ জানুয়ারি দুপুরে তা আরেক দফা বাড়িয়ে ৪১ দশমিক ৯৯ শতাংশ দেখানো হয়েছে। 

অ্যাডভোকেট রিজবী বলেন, সরকার আবারও ওয়াসার পানির দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে। তোড়জোড় শুরু হয়েছে দ্রুত পানির দামবৃদ্ধির জন্য। জনগণের পকেট কাটার আরেকটি কৌশল নিয়েছে দখলদার সরকার। ঢাকা ওয়াসা লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরেও অন্যায়ভাবে পানির মূল্যবৃদ্ধির আয়োজন চলছে। দেশের শহরগুলোতে প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বড় শহরগুলোতে সুপেয় পানির বড়ই সংকট। সেক্ষেত্রে অযৌক্তিকভাবে ওয়াসার পানির মূলবৃদ্ধি হলে নাগরিক জীবনে আরেকটি নতুন সংকট তৈরি হবে। ডামি সরকার জনগণের বাঁচা-মরাকে পাত্তা দেয় না। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের রক্ত চুষে নিতেই এরা তৎপর। সারাদেশের তীব্র গ্যাসের সংকট থাকলেও এরই মধ্যে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোরও তৎপরতা শুরু হয়েছে। দখলদার সরকারের নীতিই হচ্ছে গরিব মানুষের পকেট কাটা। 

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা এবং গ্রেফতারের বর্ণনা তুলে ধরেন।

বিইউ/এইউ