নিজস্ব প্রতিবেদক
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪২ পিএম
বেশ কয়েকটি উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন ডা. রোকেয়া সুলতানা। এরপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তবে কোথাও মনোনয়ন জোটেনি। অবশেষে জাতীয় সংসদে বসার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।
৫০ টি আসনের মধ্যে ৪৮ টিতেই প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলের জন্য অতীতে কাজ করেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদেরকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটির সর্বোচ্চমহল।
সেই তালিকায় জয়পুরহাট থেকে জায়গা পেয়েছেন ডা. রোকেয়া সুলতানা। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক।
ডা. রোকেয়া সুলতানা আলোচনায় আসেন ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার দিন থেকে। যখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গ্রেনেডে আহত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছিলেন, তখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তার-নার্সদের দেখা পাওয়া যায়নি।
সেদিন নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করেছিলেন ডা. রোকেয়া সুলতানা। অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই চিকিৎসক আহতদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
আওয়ামী লীগের এই নেত্রী সম্প্রতি ঢাকা মেইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্ণনা দিয়েছেন।
হাসপাতালের বর্ণনা দিয়ে এই নারী চিকিৎসক বলেন, ‘এর মধ্যে দেখি একেকজনের এখানে মাথা, ওখানে পা। এমন অনেক আসা শুরু করল। আমি বললাম, আমাকে স্যালাইন দেন, এন্টিবায়োটিক দেন, গজ, তুলা, অক্সিজেন এগুলো লাগবে। ডাক্তার-নার্স লাগবে। হাসপাতালে কাউকে পাচ্ছি না। ছাত্রলীগ করত, এমন একজন ডাক্তার ছিল। সে এসে বলল আপা, আমি ছাত্রলীগ করি, কেউ জানে না। কী করতে পারি বলেন। আমি বললাম, স্যালাইন এনে দাও। আমি স্যালাইন আগে দেই, আর ক্যানোলা। ও ক্যানোলা এনে দিলো। আমি কয়েকজনকে দিলাম। একশোরও বেশি।’
কারই/এমএইচটি