images

রাজনীতি

বিএনপির অবরোধ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:১৬ এএম

টানা ১০ দিন বিরতির পর আগামী আজ রোববার (২৪ ডিসেম্বর) আবারও সারাদেশে দিনব্যাপী সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। গত ৩১ অক্টোবর থেকে এটি হবে বিরোধী দলগুলোর দ্বাদশ দফা অবরোধ কর্মসূচি এবং ২০ ডিসেম্বর সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন ঘোষণার পর প্রথম দফা।

আজ রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় অবরোধ শুরু হয়েছে। যা শেষ হবে সন্ধ্যা ৬টায়।

গত সোমবার এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দেশবাসী এবং বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলের সমর্থকদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।

সংবাদপত্র পরিবহনকারী বা গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ পরিবহনকারী যানবাহন অবরোধের আওতার বাইরে থাকবে।

রিজভী বলেন, নতুন করে অবরোধ কর্মসূচির উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারকে পদত্যাগ করা, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল করা এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে চাপ সৃষ্টি করা।

তিনি বলেন, অন্যান্য বিরোধী দল যারা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে তারাও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে।

আরও পড়ুন

বিএনপির পক্ষ থেকে রিজভী সেসব বিরোধী দলগুলোর নেতাদের ধন্যবাদ জানান, যারা ২১, ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর দেশের জনগণকে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় 'একতরফা' নির্বাচন বর্জন করার এবং অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনসমর্থন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন স্থানে প্রচার চালিয়েছেন।

এর আগে বিরোধী দলগুলো সর্বশেষ ১২ অক্টোবর থেকে সারাদেশে ৩৬ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ কার্যকর করেছিল।

বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে বাধ্য করতে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে প্রায় ৩৫টির বেশি বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে আসছে।

গত ২৮ অক্টোবর দলের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিএনপির মহাসমাবেশ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেক সিনিয়র নেতাকে গ্রেফতার করা হয় এবং অনেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতারের ভয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।

তবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ২৯ অক্টোবর থেকে ১১ দফায় ২২ দিন দেশব্যাপী অবরোধ এবং চার দফায় পাঁচ দিন হরতাল দেয়।

অবশেষে বিরোধী দল ২০ ডিসেম্বর অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়।

এইউ