images

রাজনীতি

নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৪১ পিএম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে বলে যে গুঞ্জন বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে সে সম্পর্কে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এসব নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আওয়ামী লীগ চিন্তিত নয়। নিষেধাজ্ঞা এলে বিএনপি ও তাদের দোসরদের ওপর আসা উচিত বলে মনে করেন তিনি।  

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বরেন, ‘আমরা কোনো নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চিন্তিত নই। আমরা আমাদের সংবিধান মেনে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনার অধীনে একটা শান্তিপূর্ণ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এখানে নিষেধাজ্ঞা আসবে কেন? নিষেধাজ্ঞা এখন কম্বোডিয়ায় দিয়েছে, এটা তাদের ব্যাপার, কেন দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা এলে এখানে বিএনপির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আসবে, যারা নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে। আমেরিকা তো বলছে, যারা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আসবে। সেটা হচ্ছে না কেন? তারা নাশকতা করছে, গাড়ি জ্বালাচ্ছে, ট্রেন পোড়াচ্ছে, মানুষ মারছে। এটাই তো সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের বিরোধিতা। যুক্তরাষ্ট্র যদি নিষেধাজ্ঞা দিতে চায় সেটা শুধু একমাত্র বিএনপি ও তার দোসররাই এ নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।’

আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্র একতরফা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না: কাদের 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সবসময় স্বাধীন। নির্বাচন কমিশনকে আমরা সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। নির্বাচন পর্যন্ত আমরা তাদের সহযোগিতা দিয়ে যাব। কোনো বাধা বিপত্তি, হুমকি,  নাশকতা, সন্ত্রাস, এই নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা হতে পারে না। কারণ, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এদেশের জনগণ আজ নির্বাচনমুখী। নির্বাচনমুখী ভোটাররা যেকোনো উপায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর। এতে যারা বাধা দেবে, কার্যক্রমের বিপত্তি সৃষ্টি করবে, তাদের দেশের ভোটাররাই প্রতিহত করবে।’

কাদের বলেন, ‘আজকে নির্বাচনে বিএনপি এবং তার সহযোগীরা অনেকে অংশ নেয়নি। তবে সারাদেশের একইভাবে নির্বাচনের তৎপরতা চলছে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি চলছে।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গার্মেন্টস সেক্টরের শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়েছেন। এই সেক্টর উন্নয়নে, শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণে আরও কিছু করার ব্যাপারেও সরকার অত্যন্ত যত্নশীল। কাজেই নিয়ে পানি ঘোলা করার কারণ নেই।’

প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এখানে দলীয় কোনো বিষয় নেই। এখানে নির্বাচন কমিশন বিষয়। তারা আচরণবিধি অনুযায়ী চলছে। প্রার্থীরা আদালত পর্যন্ত যেতে পারে। সেখানে আল্টিমেটলি যে সিদ্ধান্তে আসবে সেটার ওপর আমাদের কোনো হাত নেই। আমরা এই ব্যাপারে বাধাগ্রস্ত করার কোনো প্রক্রিয়াতে নেই।’

জাতীয় পার্টি কি প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠতে পেরেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একটা জাতীয় পাটিকে জিজ্ঞাসা করুন। তারা কী ভূমিকা রাখতে চায়। আমাদের সাথে বসলে আমরা তাদের নীতি আদর্শ নিয়ে কথা বলি না।’

আরও পড়ুন

মার্কিন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা কী, কতটা প্রভাব ফেলে? 

স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আদালতের রায় সেটা তো আমরা বলতে পারি না। ১৭ তারিখের আগে এ ব্যাপারে মন্তব্য না করাই ভালো।’

কাদের বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে জেতার জন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে কথা বলবে। পাবলিকের সাপোর্ট নেওয়ার জন্য তো বিরুদ্ধে কথা বলবে।’

এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

কারই/জেবি