images

রাজনীতি

গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর চটলেন শাহজাহান ওমর

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৫৬ পিএম

বিএনপির সঙ্গে ৪৫ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করছেন সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। আওয়ামী লীগে যোগদানের পর থেকে তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার রেশ না কাটতেই সমাবেশে অস্ত্র নিয়ে যাওয়ায় পেয়েছেন ইসির শোকজ। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বের হওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলেন এই রাজনীতিক। 

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা আড়াই তিনি নির্বাচন কমিশন ভবনে আসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এমন ঘটনার অবতারণা হয় আগারগাঁওয়ে।

কেন নির্বাচন ভবনে এসেছেন এই প্রশ্ন করলে শাহজাহান ওমর বলেন, ইসিতে কেন এসেছি আপনাকে কেন বলব। আমি কেন এসেছি এই বিষয়ে আপনাদের জবাবদিহিতা করতে হবে? আমি এমনিতেই ঘুরতে এসেছি আপনাদের দেখতে এসেছি।

সাংবাদিকরা তার ছবি তুলতে চাইলে রেগে যান তিনি। ছবি তোলা ও প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের সঙ্গে তর্কেও জড়িয়ে পড়েন শাহজাহান ওমর। এমনকি সাংবাদিকদের ক্যামেরায় থাবাও মারতে উদ্যত হন।

‘ইসিতে কেন এসেছেন’ এই প্রশ্নের জবাবে পরে তিনি বলেন, পেপারে দেখে নিয়েন।

আরও পড়ুন

শাহজাহান ওমরকে শোকজ

আপনি আইন ভঙ্গ করেছেন কিনা? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আপনি আইন জানেন? কে বলল আমি আইন ভেঙেছি।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য বি এইচ হারুনকে প্রথমে মনোনয়ন দিলেও পরে শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ায় কপাল পোড়ে হারুনের। ঝালকাঠি-১ (কাঁঠালিয়া-রাজাপুর) আসনে নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত শাহজাহান ওমর। আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি তাকে শোকজ করেছে।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঝালকাঠি-১ আসনে নির্বাচন কমিশনের গঠন করা অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ পল্লবেশ কুমার কুন্ডু এ আদেশ দেন। ইসি জানায়, আপনি (শাহজাহান ওমর) নির্বাচনী এলাকায় সমাবেশে যোগদান করেন এবং বক্তব্য দেন। এ সময় আপনার পাশে বন্দুক হাতে একজনকে বসে থাকতে দেখা যায়। যা রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচারণ বিধিমালা ২০০৮ এর অধীনে ৬ (ক) (গ) ও বিধি ১২ লঙ্ঘনের সামিল। তার বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ নির্বাচন কমিশনে রিপোর্ট পাঠানো হবে না, সে মর্মে আগামী বুধবারের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বিইউ/এমএইচএম