নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১১:১২ পিএম
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক হাসান বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ইমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে। যারা ইমানের এই পরীক্ষায় পাশ করবে তারা ইতিহাস হবে, আর যারা সরকারের সঙ্গে আঁতাত করবে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
তিনি বলেন, এই সরকার এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোকে এমপি-মন্ত্রিত্বের অফার দিচ্ছে নির্বাচনে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, গণঅধিকার পরিষদ শেখ হাসিনার অধীনে কোনো পাতানো নির্বাচনে যাবে না।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ফারুক হাসান বলেন, যতই চাপ আসুক, যতই নির্যাতন আসুক আমরা প্রয়োজনে কেরানীগঞ্জ কারাগারে যাবো, তবুও এই সরকারের পাতানো ফাঁদে পা দিবো না। সরকার এখন লাগামছাড়া পাগলা ঘোরার মতন আচরণ শুরু করেছে। তারা যেকোনো মূল্যে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার আমাদেরকে ভয় দেখাচ্ছে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য। আমি সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাকে বলেছি, কারাগারে যাবো তবুও অবৈধ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবো না।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মাহবুব হোসেন বলেন, সরকার এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের কেনা-বেচা শুরু করেছে। বর্তমান এই শেখ হাসিনার সরকার হলেন নব্য রাজাকারের সরকার। যারা শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবেন তারাও নব্য রাজাকার। আমরা গণঅধিকার পরিষদ এই নব্য রাজাকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিবো না।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এখন পাগল হয়ে গেছে ক্ষমতায় থাকার জন্য। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত নাকি ১০/১৫ বছর পরে আর থাকবে না। আমরা বলতে চাই, আপনার আ.লীগ আর কয় মাস টিকে সেটা নিয়ে ভাবেন। বিএনপি-জামায়াত এবং গণঅধিকার পরিষদ ঠিকই টিকে থাকবে।
গণঅধিকার পরিষদের নেতা মোজাম্মেল মিয়াজির সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, গণনেতা কর্ণেল অব. মিয়া মসিউজ্জামান, মাহবুব জনি, এডভোকেট শিরিন আকতার, ইসমাইল আহমেদ বন্ধন, জিয়াউর রহমান, আরিফ বিল্লাহ, মাহবুবুল হক শামীম, ইমাম উদ্দিন, আব্দুল্লাহ, ফায়সাল; যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক সাকিব হোসাইন; ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মুনতাসীর মাহমুদ প্রমুখ।
টিএই/এমএইচএম