জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:২৮ পিএম
বিএনপি পুনর্গঠনের উদ্যোক্তা দাবি করা কামরুল হাসান নাসিম বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দণ্ডিত ব্যক্তি। তাই তার রাহুগ্রাস থেকে বিএনপিকে বাঁচাতে হবে। রাষ্ট্রস্বার্থকে বড় করে দেখে বিএনপির গ্রহণযোগ্য ১০০ নেতাকে জাতীয় নির্বাচনেও বিজয়ী হয়ে সংসদে যেতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নাসিম এই কথা বলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, কামরুল হাসান নাসিম মানুষের সামনে হাজির হলেও নিজের রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে নানা ধরনের ঝুঁকি আছে জেনেও তিনি গ্রহণযোগ্য কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে বিএনপি পুনর্গঠন করতে চান।
বিবৃতিতে নাসিম বলেন, 'সেই অর্থবহ কাউন্সিল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে করতে গেলে দেশের অগণিত বিএনপির অনুসারীরা ভুল বুঝতে পারে। তাই আগামী বছরের জুলাই মাসে কাউন্সিল করতে চান।’
নাসিম বলেন, ‘খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে থাকা গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে বিএনপির গ্রহণযোগ্য নেতাদের এখন জাতীয়তাবাদী পর্যায়ের অপরাপর প্ল্যাটফর্ম থেকে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে হবে বলে মনে করার সুযোগ আছে। আপাতভাবে রাজনৈতিকভাবে এমন উদ্যোগ কোরামিনের মতো কাজ করবে। তারাই আবার ২০২৪ সালের কাউন্সিলে মূল দল বিএনপির হয়ে ফিরতে পারবেন।
বিএনপি পুনর্গঠনের কথিত এই নেতা বলেন, ‘বিএনপির গঠনতন্ত্রের সর্বশেষ সংশোধনী নির্বাচন কমিশন কেন গ্রহণ করল তা বোধগম্য নয়। দলের দুই শীর্ষ নেতা বেগম জিয়া ও তারেক রহমান যখন একাধিক মামলায় দণ্ডিত হয় তখন দলের গঠনতন্ত্র থেকে ৭নং ধারা বাদ দেওয়া হয়। অথচ বলা হচ্ছে, ২০১৬ সালের কাউন্সিলে বাদ দেওয়া হয়েছিল। যা সম্পূর্ণ অসত্য তথ্য।’
দেশবাসীর উদ্দেশে নাসিম বলেন, 'ওই সংশোধনের আগে গঠনতন্ত্রের ৭ নম্বর ধারায় বলা ছিল, কমিটির সদস্যপদের অযোগ্যতা-নিম্নোক্ত ব্যক্তিগণ জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, জাতীয় স্থায়ী কমিটি বা যে কোন পর্যায়ের যে কোন নির্বাহী কমিটির সদস্যপদের কিংবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী পদের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। (ক) ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ৮-এর বলে দণ্ডিত ব্যাক্তি; (খ) দেউলিয়া; (গ) উন্মাদ বলে প্রমাণিত ব্যক্তি; (ঘ) সমাজে দুর্নীতিপরায়ণ বা কুখ্যাত বলে পরিচিত ব্যক্তি।’
২০১৫ সালের ৯ জানুয়ারি বিএনপি পুনর্গঠনের ডাক দিয়ে আলোচনায় আসেন কামরুল হাসান নাসিম। দেশের অন্যতম বড় দল বিএনপির ‘পাঁচটি অসুখ’ হয়েছে দাবি করে তিনি দলটির পুনর্গঠন করার ঘোষণা দেন।
বিবৃতিতে নাসিম বলেন, ‘নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে প্রতীকী উচ্চ আদালত বসিয়ে কাউন্সিল করতে হবে। পাঁচটি অসুখ সারাতে হবে। দল কোনো দণ্ডিত ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত হতে পারে না। আবার দলের মধ্যেই যখন কোনো গণতন্ত্র নেই, রাষ্ট্রের কাছে কেন তাহলে গণতন্ত্র চাওয়া হচ্ছে? এই বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে এরা দানব হয়ে উঠবে। কাজেই পুনর্গঠন করেই বিএনপির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে।’
নাসিম বলেন, ‘পথ এখন দুইটা- আত্মশুদ্ধি, নতুবা বিলুপ্তি। তবে বিলুপ্তির পথে অন্তরায় হবে যখন দলের মধ্যকার অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে। অন্যদিকে এখন আত্মশুদ্ধির মধ্য দিয়ে সাময়িক পথ খুঁজে নিতে হবে। আর তা হলো, শ্রেষ্ঠ পর্যায়ের তথা ১০০ জনের মতো নেতাকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হতে হবে।’
বিইউ/জেবি