জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
২৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৪১ এএম
পুলিশ ও সরকারি দলের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে মহাসমাবেশ বানচালের অভিযোগ এনে সারাদেশে হরতাল পালন করছে বিএনপি। রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হওয়া এই হরতালের প্রথম প্রহরে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করেছে পুলিশ।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে সকালে বিএনপি মহাসচিবের গুলশানের বাসায় যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানান শায়রুল।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের এডিসি মাহবুবুল হক সজীব ঢাকা মেইলকে বলেন, মির্জা ফখরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আমরা তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে এসেছি।
বিএনপি মহাসচিবের স্ত্রী রাহাত আরা বলেন, সকালে ডিবি পুলিশের লোকজন বাসায় আসেন। মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বাসার সবার সঙ্গে তারা কথা বলেন। পরে বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও হার্ড ডিস্ক নিয়ে তারা ভবনের নিচে চলে যায়। ঠিক দশ মিনিট পর আবার ফিরে এসে বিএনপি মহাসচিবকে আটক করে নিয়ে যায়।
স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে রাহাত আরা বলেন, মির্জা ফখরুল প্রচণ্ড অসুস্থ, তার চিকিৎসা চলছে। এভাবে নিয়ে যাবে মেনে নিতে পারছি না। ৭৫ বছর বয়স্ক মানুষ। আশা করব, যদি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়, তা করে যেন তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এর আগে গতকাল শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীতে মহাসমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি। এদিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও রাজধানীতে সমাবেশ ডাকে। এতে রাজনীতিতে ব্যাপক উত্তাপ ছড়ায়। ডিএমপির অনুমতি পেয়ে লাখো জনতা নয়াপল্টনে জড়ো হলে মহাসমাবেশের কার্যক্রম যথারীতি শুরু হয়।
তবে এক পর্যায়ে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজধানী। পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পণ্ড হয়ে যায় মহাসমাবেশের কার্যক্রম। মঞ্চ ছাড়ার আগে বিএনপি মহাসচিব রোববার দেশব্যাপী হরতালের ঘোষণা দেন।
এদিকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশের এক কনস্টেবল মারা যান। আহত হন অন্তত ৪০ সদস্য। এছাড়া যুবদলের এক নেতাও মারা যান। আহত হন বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী।
বিইউ/জেবি