জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
১৯ অক্টোবর ২০২৩, ০১:১৯ পিএম
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, টালবাহানা না করে জনগণের স্বার্থে আপনারা পদত্যাগ করেন। প্রায় ৩৬টি রাজনৈতিক দলসহ প্রায় সবগুলো রাজনৈতিক দল বলছে- এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ডিআরইউ মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের শীর্ষ নেতা প্রয়াত সাইফুদ্দিন আহমেদ মনিরের রাজনীতিতে অবদান নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতারকদের দল, নির্বাচনের আগে সুন্দর সুন্দর করে কথা বলে। নির্বাচনের পর মানুষ বলে- আগে জানলে তোর ভাঙা নৌকায় উঠতাম না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে দেশের মানুষের জন্য দুর্ভাগ্য যে, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও ভোটের অধিকারের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগের লোকজনের কথা শুনলে মনে হয়, দেশটা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। ওবায়দুল কাদের আমাদের শেষ বার্তা দিয়ে দিয়েছেন, আবার শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসবেন। তাহলে আর নির্বাচন করার কী দরকার?
বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ বলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। এখানেই তারা সবচেয়ে বড় প্রতারণা করছেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এমন একটা জিনিস তৈরি হয়েছে যে, এক রাজনৈতিক দলের ওপর আরেক রাজনৈতিক দলের আস্থা নাই। এই উপমহাদেশের সব দেশেই সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। আমরা পারছি না শুধু আওয়ামী লীগের জন্য।
ফখরুল বলেন, ক্ষমতায় আসতে না পারলে জবাবদিহি করতে হবে এই ভয়। সময় আছে সেফ এক্সিট নেন। প্রতিটি সমাবেশে সমুদ্রের মতো জনতার ঢল নামছে। ২৮ তারিখে মহাসমাবেশ। এরমধ্যে দেশকে সংকটের হাত থেকে রক্ষা করতে পদত্যাগ করেন। কেননা আওয়ামী লীগের কোথাও কোনো অস্তিত্ব নেই। পায়ের তলায় মাটি নেই।
সাইফুদ্দিন মনির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মনির ছিলেন বিরল প্রজাতির রাজনীতিবিদ। তিনি হঠাৎ করে চলে যাবেন তা কখনো ভাবিনি। দেশের মানুষের কল্যাণ, উন্নয়ন এবং পরিবর্তন কীভাবে হয়, সেই চিন্তাই তার মধ্যে ছিল। বাংলাদেশের এখন যেই করুণ অবস্থা, সেই অবস্থায় সাইফুদ্দিন মনিরের অনেক প্রয়োজন ছিল।
বিইউ/আইএইচ