নিজস্ব প্রতিবেদক
১৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:২০ পিএম
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার একটা প্রশ্ন, বিএনপি নেতাদের কাছে। আপনারা অনশন করেন, কেমন ছেলে সে (তারেক রহমান) অসুস্থ মাকে (খালেদা জিয়া) দেখতে আসে না। মা নাকি মরে মরে। আমি তো বলব, মাকে দেখতে আসুক।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর কাওলায় সিভিল এভিয়েশন মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিলান উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, খালেদা জিয়ার এক ছেলে কোকো মারা যায়। আমি একজন মা। আমারও সন্তান আছে। আমি খালেদা জিয়াকে সহানুভূতি দেখাতে গিয়েছিলাম। আমি যখন সেই বাসার সামনে যাই, বাসার গেট তালা দিয়ে বন্ধ করে দেয়। কত বড় অপমান, চিন্তা করে দেখেন। খালেদা জিয়া ভুলে গেছেন, স্বাধীনতার পর কতবার ওই ৩২ নম্বরে গেছে। আমার বাবা আর মা যদি সহযোগিতা না করতো তাহলে নিজেকে বেগম জিয়া বলে পরিচয় দিতে পারত না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার বোন আমার কাছে এসে কান্নাকাটি করল। আমি সাজা স্থগিত করলাম। এখন নাকি তারা খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনশন করছে। অনশনের আগে কি দিয়ে নাস্তা করে এসেছে? শেষে কি দিয়ে ভাত খাবে? নাটকের একটা সীমা থাকে। কয় ঘণ্টার অনশন?
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে ক্ষমতার দাপট দেখিয়েছি। বলেছিল, আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আল্লাহর মাইর, দুনিয়ার বাইর। এখন সে না প্রধানমন্ত্রী, না বিরোধী দলে।
>> আরও পড়ুন:
অনশনের নামে নাটক করছে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী
ষড়যন্ত্রে ভয় করি না, ভোট নিয়ে চিন্তা নেই: শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হয়রানি করেছে। খালেদা জিয়া বলেছিল, গোপালগঞ্জের নাম মুছে ফেলবে। জয় বাংলা স্লোগান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইতিহাস মুছতে চাইলেই মুছে ফেলা যায় না।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন— আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমন্ডলীগের সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাহজাহান খান; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের নেতা ও কর্মীরা।
কারই/এএস