নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৩১ পিএম
দীর্ঘ নয় বছর পর ছাত্র সমাবেশ করল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সংগঠনের সব জেলা, উপজেলা ও ইউনিট শাখা থেকে লাখো নেতাকর্মী এই সমাবেশে অংশ নেন। বড় আয়োজনে যোগ দিতে তাদের প্রস্তুতিও ছিল বড়। নেতাকর্মীরা নিজ নিজ শাখার জন্য আলাদা আলাদা ক্যাপ, টি-শার্ট, মাথায় বাঁধার ফিতা করেছেন, যেখানে ছিল ছাত্রলীগের লোগো ও পতাকা। তবে অনেকেই লোগোতে ভুল রঙ ব্যবহার করেছেন। পতাকার মাপও সঠিক ছিল না।
‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামে সংগঠন রয়েছে দুটি। যার একটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন, অপরটি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) ছাত্র সংগঠন। দুই দলের দুটি সংগঠনের নাম একই- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আবার দুই সংগঠনের লোগোতেও বেশ মিল রয়েছে। মিল রয়েছে পতাকাতেও৷
আওয়ামী লীগের ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে সংগঠনের লোগোর পরিষ্কার ছবি আছে৷ তবে লোগোর বিষয়ে বিস্তারিত বলা নেই।
জাসদের সঙ্গে সাদৃশ্য থাকায় ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতা লোগো ব্যবহারে নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছেন।
শুক্রবারের (১ সেপ্টেম্বর) সমাবেশে দেখা গেছে, ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের মাথায় একটি কাপড় বাঁধা হয়েছে। এতে লেখা রয়েছে- ‘ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ।’
লেখার আগে সংগঠনের লোগো এবং লেখার শেষে সংগঠনের পতাকা রয়েছে। কয়েকটি রঙে এই কাপড় তৈরি করেছে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ। আর এক রঙা কাপড়ের উপর এক রঙা ছাপ দিয়ে লেখা, লোগো ও পতাকা ছাপা হয়েছে। এতে করে কোথাও ছাত্রলীগের লোগো লাল রঙের, কোথাও সবুজ, কোথাও বা সাদা রঙের দেখা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের একজন কর্মী বলেন, 'আমি নিজেও এ বিষয়ে জানি না। বড় ভাইরাও বিষয়টা হয়ত খেয়াল করেনি।'
তিনি জানান, ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন। এ বিষয়ে সবার পরিষ্কার ধারণা প্রয়োজন বলেও মনে করেন এই কর্মী।

জাসদ ছাত্রলীগের মতো লাল রঙের লোগো টিশার্টে ব্যবহার করে ছাত্র সমাবেশে যোগ দিতে দেখা গেছে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলামের সৌজন্যে নেতাকর্মীদের এই টিশার্ট সরবরাহ করা হয়েছে বলে সমাবেশে আগত কর্মীরা জানিয়েছেন।
লাল লোগোর বিষয়ে জানতে চাইলে এক কর্মী বলেন, 'আমি জানি না ভাই।'
একইভাবে লাল ক্যাপের উপর সাদা রঙের লোগো দেখা গেছে একাধিক জেলা শাখার।
আবার সমাবেশে আগত নেতাকর্মীরা অনেকেই নিয়ে এসেছেন জাতীয় পতাকা এবং সাংগঠনিক পতাকা। সেখানে ছিল গোলযোগ।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের চার নম্বর পৃষ্ঠায় সংগঠনটির পতাকা কেমন হবে তার বর্ণনা রয়েছে৷ এতে উল্লেখ রয়েছে- পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ হবে ৪ অনুপাত ৩।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার আকার ১০ অনুপাত ৬। ছাত্র সমাবেশে আসা নেতাকর্মীরা যে পতাকা ধারণ করেছেন, তাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও সাংগঠনিক পতাকার আকার দেখা গেছে ১০ অনুপাত ৬।
কারই/জেবি