এভারকেয়ারে যেভাবে চলছে খালেদার চিকিৎসা

নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসকদের ‘সার্বক্ষণিক নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ রয়েছেন। সেখানে রেখেই তাকে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা চিকিৎসা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

সোমবার (১৪ আগস্ট) ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসকদের বোর্ড তাকে সার্বক্ষণিক নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে। তবে তাকে সিসিইউতে নেওয়ার চিন্তাভাবনা আছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ১০ আগস্ট স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। সেদিনই চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

ডা. জাহিদ বলেন, চিকিৎসকদের বোর্ড এখন দিনে দুই থেকে তিনবার বৈঠক করে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা দিচ্ছে।

আপাতত হাসপাতালের কেবিনে রেখেই খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এদিকে রোববার রাত ১০টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়েছিলেন। সেই সময় মির্জা ফখরুল খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।

৭৮ বছর বয়স্ক খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদ্‌রোগে ভুগছেন। তাঁর পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা।

২০২১ সালের এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার নানা অসুস্থতার কারণে বিএনপি চেয়ারপারসনকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। পরে হাইকোর্টে এই সাজা বেড়ে ১০ বছর হয়। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আরও সাত বছরের সাজা হয়।

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। সেই থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে রয়েছেন। ছয় মাস পরপর সরকার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে।

এর আগে সব শেষ গত জুনে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। সে সময় তাকে পাঁচ দিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল।

গত বছরের জুন মাসে খালেদা জিয়ার অ্যানজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্‌যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।

বিইউ/জেবি