images

মতামত

শেখ হাসিনা: দ্য লেজেন্ড অফ আ ফাদার

ঢাকা মেইল ডেস্ক

২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:১৯ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন সঞ্চালন এত বন্ধুর এবং এত সম্ভাবনাময়, যা হয়তো কোনো মানব চরিত্রে এর আগে বিচরণ করেছে কি-না তা জানার দাবি থেকেই যায়। কিংবা কোনো উপন্যাস, বা কোনো লেখকের একক কোনো বই, এত শক্তিশালী কোনো জীবন চরিত্রকে এককভাবে ধারণ করতে পারবে কি-না তাও জানার আগ্রহ থেকেই যায়। কেননা একক কোনো সত্ত্বা নিয়ে শেখ হাসিনা জীবনে বিস্তৃত হয়ে ওঠেননি, তিনি মানবশিশুর মতো জন্মগ্রহণ করলেও প্রকৃত অর্থে তিনি জন্ম নিয়েছেন তাঁর পবিত্র অন্তরে। যে অন্তর বিস্তৃত হয়ে আছে কোটি কোটি মানুষের প্রাণে।

বর্তমানে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের জীবন যেন শেখ হাসিনা। পৃথিবীর ইস্পাত কঠিন প্রতিজ্ঞা যেন শেখ হাসিনা। মুনির সঞ্চিত বিশুদ্ধ জ্ঞানভাণ্ডার যেন শেখ হাসিনা। সম্প্রতি তাঁকে নিয়ে লেখা বিদেশি একজন লেখকের একটি বই পড়ে এ-ও মনে হয়েছে- আপনি হয়তো বই পড়তে পড়তে একসময় তলানিতে ঠেকে টের পেয়ে উঠবেন- আপনি জীবিত। আপনি পৃথিবীর সাথে তালে তাল মেলাতে মেলাতে একসময় আপনি টের পেয়ে উঠবেন- আপনার পৃথিবীর জন্য সত্যকে গ্রহণ করা দায়িত্ববোধ ছিল। পৃথিবীতে বাস করতে করতে একসময় আপনার অনুশোচনাবোধ জাগ্রত হবে- পৃথিবীর কল্যাণকামী মানুষের জন্য আপনার দায়িত্ববোধ প্রদর্শন করা অবশ্যম্ভাবী প্রয়োজন ছিল। এবং শেখ হাসিনার দর্শন বিস্তারে সহায়ক পথে আপনার অগ্রণী হওয়া দরকার ছিল।

শেখ হাসিনা একটি দর্শন, যে দর্শনের সূচনা বঙ্গবন্ধু। সংগ্রামের পর সংগ্রাম বেয়ে বহু উপেক্ষিত, নিপীড়িত মানুষের মুক্তির দায়িত্ব বঙ্গবন্ধু যেভাবে যোয়ালের মতো টেনে এনেছিলেন একটি জাতির নেশায়। একটি স্বপ্নভরা দৃঢ় পদক্ষেপের নেশায়। শেখ হাসিনা সে স্বপ্নের জীবিত স্পন্দন। যেখানে শেখ হাসিনা আর বঙ্গবন্ধু একসাথে বড় হয়েছিলেন। এখন শুধু বঙ্গবন্ধু আক্ষরিক অর্থে যেখানে জীবিত নেই।

ওই উপন্যাসটিতে দুটি গ্রামের নাম ‘বাংলা গ্রাম’ ও ‘উর্দু গ্রাম’। এই দুটি গ্রামের তুলনামূলক প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা বিস্তৃত হয়েছেন বহু স্মৃতির সাক্ষী হয়ে। যার মধ্যে জন্ম নিয়েছে একটি জাতি রাষ্ট্র, যা বঙ্গবন্ধু দীর্ঘদিনে নানা চড়াই-উতরাই পার করে একটি চূড়ান্ত বিজয়ে রূপ দিতে পেরেছিলেন। যার প্রতিটি স্তরে স্তরে শেখ হাসিনা সেই দর্শনের সম্মুখ ও নিবিড় শিক্ষার্থী ছিলেন।

ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, শিক্ষা আন্দোলন, ফাতিমা জিন্নার নির্বাচন, ’৬৫ এর পাক-ভারত যুদ্ধ, ’৬৬ এর ৬ দফা, আগরতলা ষড়যন্ত্র, ’৬৯ এর গণ আন্দোলন, ’৭০ এর ঘূর্ণি ঝড়-জাতীয় নির্বাচন, ’৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বিজয় অর্জন, ’৭৫ এর ট্রাজেডি, ’৮১- তে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, এরপর দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে শেখ হাসিনার বর্তমান সময়কাল পর্যন্ত, সারা পৃথিবীর জন্য একটি উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে এই উপন্যাসে। এর আগেও হয়তো এই বিষয়গুলো মানুষ কম-বেশি জানতো কিংবা জানে, কিন্তু মোহসেন আরিশি এই উপন্যাসে তাঁর সরল দৃষ্টি প্রয়োগ করেছেন যা আমরা প্রতিনিয়ত দেখি তাঁর বাইরে যেয়ে।

সম্প্রতি বাংলাদেশি একজন কবি আসলাম সানী তাঁর একটি কবিতাই লিখেছেন- ‘শেখ হাসিনা এগোলেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।’ যথার্থই, শেখ হাসিনা এগোলেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বর্তমান তরুণ প্রজন্মের জন্য শেখ হাসিনার থেকে বড় শক্তি আর কি হতে পারে!

শুভ জন্মদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।

লেখক: কবি ও সাহিত্যিক, সভাপতি ৩১তম বিসিএস ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন।

বিইউ/আইএইচ