images

মতামত

আওয়ামী লীগের দরজায় কড়া নাড়ছে নতুন কেউ

ঢাকা মেইল ডেস্ক

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:৪৪ পিএম

নির্বাচন কমিশন ১৪ সেপ্টেম্বর আগামী জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে। রোডম্যাপ অনুযায়ী, জাতীয় নির্বাচন আগামী বছরের ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। সবমিলিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হাতে সময় মাত্র পনের মাস। এখন তাদের দল গোছাতে হবে। কেননা, আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক বটবৃক্ষ। দল-উপদল, শাখা-প্রশাখা, নানা মত-বিশ্বাস; ধারাবাহিক ক্রমবিকাশের সংস্কৃতি তা উল্লেখ করে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। আগামী দিনের জন্য আওয়ামী লীগের নির্বাচন প্রস্তুতি কী রকম হবে, তার আভাসও ১৪ সেপ্টেম্বরের সংবাদ সম্মেলনে কিঞ্চিত ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থাৎ নতুন ও পুরনো মিলেই নৌকার যাত্রী হতে হবে। এমন ঘোষণা রেখেছেন বঙ্গবন্ধু তনয়া।

আগের প্রবীণ নেতারা এদিকে বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। কেউবা অসুস্থ, কেউ সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড থেকে গুটিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। এই অবস্থায় পুরনোর জায়গায় আসতে হবে নতুনদের। এটিই বাস্তবতা, এটিই সময়ের শিক্ষা।

আওয়ামী লীগ এই সময়ের শিক্ষাটি বোধহয় উপলব্ধি করেছে- তার প্রমাণ মিলেছে ১০ সেপ্টেম্বর দেশের ৬১ জেলা পরিষদে প্রার্থী মনোনয়নের বেলায়। সেখানে পুরনোর পাশাপাশি অর্ধেক এসেছে নতুন মুখ। অর্থাৎ নতুনদের জায়গা করে দিতে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে বেশ উদার। এই উদারতার ধারা চলমান রাখা গেলে আওয়ামী লীগে আগামীকে চমক দেখাতে পারে নতুন নেতৃত্ব।

আওয়ামী লীগের পুরনো রাজনীতির যে ধারাবাহিকতা দাঁড়িয়েছে তা অনেকখানি সিন্ডিকেট নির্ভর। একদিকে শেখ হাসিনা, অন্যদিকে পুরনো বলয়- এটি তো কোথাও কোথাও দৃশ্যমান। নতুনদের জায়গা করে দিয়ে এই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। আওয়ামী লীগে আমি অমুক নেতার বলয়ের, কেউ অমুক নেতার লোক- এরকম নানা চর্চা আছে। এই বলয় একদিনে গড়ে ওঠেনি, এটি হয়েছে ধীরে ধীরে; নানা কৌশলের মাধ্যমে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বার্তা হলো- আওয়ামী লীগের একটিই আদর্শ তা হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণ করা। আওয়ামী লীগ মানেই শেখ মুজিবের আদর্শকে আঁকড়ে রাখা।

রাজনীতি নিয়ে আগ্রহীদের চাওয়া যে, আওয়ামী লীগের এই বলয় ভাঙতে হবে। পুরনো অপচর্চার জায়গায় আওয়ামী লীগকে তারুণ্যনির্ভর নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। আওয়ামী লীগ কেবল ৪৭, ৪৮, ৫২, ৬৯, ৭১ এর সেই দল শুধু নয়; আওয়ামী লীগ আজকে এসে ২০২২ এর জনপ্রিয় দল। তেমনি অনাগত ২০৫০ সালেও যেন দলটি জনপ্রিয় হয়ে জনমানুষের সংস্কৃতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।  এর জন্য দরকার, রাজনৈতিকমনস্ক মেধাবী তরুণ নেতৃত্ব, নতুন নেতৃত্ব। কেননা দেশের লাখ লাখ তরুণের ঠিকানা আওয়ামী লীগ- এই বার্তাটি বোঝাতে হলে নতুনদের বিকল্প নেই।

আরও পড়ুন: সত্যান্বেষী হয়ে আওয়ামী লীগের যোগ্য নেতৃত্ব খুঁজছি

আসছে ডিসেম্বরে, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন। দল গোছানো, নির্বাচনের প্রস্তুতি, ভোটের জন্য তৃণমূল চাঙা করার মতো নানা চ্যালেঞ্জ আসছে আওয়ামী লীগের সামনে। সেই চ্যালেঞ্জগুলো পুরোপুরি মোকাবিলা করা গেলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতার মতো আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিকতা অনেক বাস্তব হয়ে ধরা দেবে। এখন আগ্রহ দেখা দিতেই পারে কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অর্থাৎ শেখ হাসিনার নির্ভরশীল অন্যতম শক্তি। পুরনো কেউ, নাকি নতুন কেউ; নাকি কথিত সেই বলয়ের কেউ? সুতরাং আওয়ামী লীগকে এ বিষয়টি নতুন করে ভাবতে হবে, সাবধান হতে হবে। বুঝতে হবে হিংসুক শক্তিরা ক্রমশ আক্রোশমুখী হয়ে উঠছে, কর্মসূচির নামে বেকায়দায় ফেলতে তারা তৎপর। তাই আওয়ামী লীগকে আগামীর দিনগুলোর জন্য নতুন করে ভাবতে হবে। তবে আশাবাদী হতে দোষ কোথায়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নতুন কেউ আসতেই পারেন।

সম্মেলন ঘনিয়ে আসছে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আগের থেকে বেশ সরব। কিন্তু তার সত্তায় অসুস্থতার প্রভাব প্রকট। বোঝা যাচ্ছে, বেগ পোহাতে হচ্ছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বড় আয়োজনের ঝক্কি মোকাবিলা করার মতো শারীরিক দৃঢ়তা ওবায়দুল কাদেরের কি আছে? এমন অবস্থায় ওবায়দুল কাদেরের ‘অখণ্ড অবসরে’ যাওয়ার সময় হাতছানি দিচ্ছে বলে মনে করার সুযোগ আছে।

নতুন একজন সাধারণ সম্পাদক মনোনয়নের বিষয়টি এমন ‘কঠিন সময়ে’ আওয়ামী লীগের জন্য বড় অগ্নিপরীক্ষা বটে! যিনি হবেন দলের কাছে সর্বগ্রহণযোগ্য, সর্বোপরি নিষ্কলুষ একজন নেতৃত্ব। যিনি আওয়ামী লীগের আগামী নির্বাচনি তরীটি কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে নিতে সক্ষম হবেন।

এরইমধ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক পদে বেশ কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে যারা রাজধানীকেন্দ্রিক রাজনীতিতে বেশ ‘পটিয়সী।’তালিকায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রাজ্জাক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ড. হাছান মাহমুদ, দীপু মনি, মাহবুবুল আলম হানিফ প্রমুখের নাম।

আরও পড়ুন: সাধারণ সম্পাদক নিয়ে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আ.লীগকে

স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে দলের মাঠপর্যায়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাত প্রকট, এমন দিক রয়েছে। ২০২৩ সালের শেষে কিংবা ২০২৪–এর শুরুতে জাতীয় নির্বাচন। সম্মেলন হলে নতুন কমিটি নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে আওয়ামী লীগ। ফলে আগামী নির্বাচনটা কেমন হবে? দলের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে কাকে বসানো হবে? এসব এখন ভাবনার বিষয়।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় রাজনীতি ঘটনাবহুল হতে পারে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা। আগামী ডিসেম্বরে কেন্দ্রের সম্মেলন উপলক্ষে দেশব্যাপী তৃণমূলের সম্মেলন গুছিয়ে আনছে দলটি। এরইমধ্যে বেশকিছু জেলার সম্মেলন শেষ হয়েছে এবং পূর্ণাঙ্গ কমিটিও হয়েছে। ইউনিয়ন, পৌরসভা-উপজেলা পর্যায়ে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও সম্মেলন হচ্ছে। সম্মেলন ঘিরে যেমন দেশব্যাপী বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে, তেমনি ভেতরে ভেতরে বাড়ছে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে প্রতিযোগিতা। কে হচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক–এ প্রশ্নের উত্তর পেতে চায়ের টেবিলে আলোচনা উঠতে শুরু করেছে।

এ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য সবচেয়ে আলোচিত নাম দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। দল ও সরকারকে আলাদা করার যে কৌশল, তাতে তিনি এগিয়ে আছেন। গত নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন না পেলেও তাকেসহ আরও কয়েকজনকে দিয়ে দলের নির্বাচন পরিচালনা করানো হয়। পরে ছাত্রলীগ দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। নানক তৃণমূল থেকে উঠে এসেছেন, ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে ছিলেন, যুবলীগেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন। সংগঠক হিসেবে দলে তার পরিচিতি আছে বলে সাধারণ সম্পাদকের দৌড়ে অনেকে তাকেই এগিয়ে রাখছেন। কিন্তু, বাংলাদেশের চলমান রাজনীতি মোকাবিলা করার জন্য প্রতিটা দিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য রাখার সৃজনশীল যোগ্যতা তাঁর মধ্যে আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

league1

ড. আব্দুর রাজ্জাককেও ওই পদের সম্ভাব্য হিসেবে গণ্য করছেন অনেকে। তিনি দলের সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য এবং সরকারে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। গত দুই সম্মেলনে দলের গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র এবং গত নির্বাচনে ইশতেহার প্রণয়নের কাজ করে তিনি দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন। গত সম্মেলনেও সাধারণ সম্পাদক পদের দাবিদার ছিলেন তিনি। কিন্তু দলের তৃণমূলের সঙ্গে তার যোগাযোগ খুব একটা নেই বলে সমালোচনা করা হয় তার। তবে দলের অভ্যন্তরীণ, জাতীয় এমনকি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করা কিংবা ঘটনা প্রবাহের সাথে তাল দিয়ে দ্রুতসিদ্ধান্ত দেওয়ার নেতৃত্ব অবশ্য আবদুর রাজ্জাকের মধ্যে নেই।

সাধারণ সম্পাদক পদে মাহবুবউল আলম হানিফের নাম খুব জোরেশোরেই আলোচনায় আছে। দীর্ঘদিন তিনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে রাজনৈতিক পরিপক্বতা দেখিয়েছেন। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখেন। গত কয়েক বছরে তিনি অনেক ইস্যুতে তার সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় তিনি। এটি যেমন তার জন্য ইতিবাচক, আবার সাধারণ সম্পাদক প্রার্থিতায় নেতিবাচক হিসেবে দেখেন কেউ কেউ। তবে তাঁর ধীরে কথা বলার অভ্যাস, অর্থবহ মন্তব্য করার দিকটি বেশ ভালো। সারাদেশে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও খানিকটা প্রশ্ন আছে। 

আরও পড়ুন: সাত চ্যালেঞ্জের বাধা পেরিয়ে আওয়ামী লীগ কি পারবে?

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে ড. হাছান মাহ্‌মুদের সম্ভাবনাও কম নয়। তিনি দলের অন্যতম মুখপাত্র। দলে তার উত্থান হয়েছে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এবং সাংগঠনিক বিষয়ে তিনি এখন ইতিবাচক ভূমিকা রাখছেন। তথ্য মন্ত্রণালয় সামলাচ্ছেন। সমানতালে সময় দিচ্ছেন দলেও। এসব কারণে তার সম্ভাবনাকে অনেকেই এগিয়ে রাখতে চান।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এখন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে তেমন প্রভাবশালী না হলেও শেখ হাসিনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। তবে সম্প্রীতি চাঁদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় জমি কেলেঙ্কারিতে তার স্বজনদের নাম আসায় দীপু মনি বিতর্ক ছাপিয়ে এখন আর কলংকমুক্ত নাম নয়।

যুগ্ম সম্পাদক পদে অপেক্ষাকৃত তরুণ বাহাউদ্দিন নাছিম কর্মীদের অত্যন্ত পছন্দের একটি নাম। কর্মীবান্ধব হিসেবে তার পরিচিতি আছে।

এতকিছুর পরও আমাদের চাওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একজন সৎ, স্বচ্ছ ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা আসুক। যিনি কথিত বলয়ের বাইরের কেউ এলেই আওয়ামী লীগ অনেক আশঙ্কা থেকে মুক্তি পাবে। আশা করতেই পারি-আওয়ামী লীগে নতুন কেউ আসুক।

উপরের তালিকার বাইরে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা জাতীয় চার নেতার অন্যতম এ এইম এম কামরুজ্জামানের ছেলে খায়রুজ্জামান লিটনকে যোগ্য হিসেবে দেখতে চাইছেন। তিনি দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য বটে। কোথাও ‘গুরুগম্ভীর’ কোথাও ‘প্রাণখোলা’ নেতৃত্ব বলতে যা বোঝায়,  তার পুরোটাই খায়রুজ্জামান লিটনের মধ্যে নিহিত। তিনি পারিবারিকভাবে রাজনৈতিক আদর্শে দীক্ষিত, আওয়ামী লীগের চিন্তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কখনও রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে বিতর্কিত করেননি। আওয়ামী লীগের রক্তের রক্তে বেঈমানি করার দীক্ষা তিনি কখনও নেননি। রাজধানীর বাইরে নিজস্ব এক গণ্ডিতে তিনি নিভৃতে-নীরবে ছড়িয়ে দিচ্ছেন জাতীয় চার নেতার আদর্শ, ছড়িয়ে দিচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিন্তার মশাল। কেন্দ্রের চোখ কেন্দ্র থেকে প্রান্তের দিকে গেলে খায়রুজ্জামান লিটন সার্বজনীনভাবে আদৃত হয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মানানসই হবে বলে মনে করার সুযোগ আছে।

জাতীয় চার নেতার সন্তানদের মধ্যে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ নাসিম সক্রিয় ছিলেন এবং কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিতেন। কিন্তু এদের দুজনের মৃত্যুর পর এখন রাজনীতিতে সক্রিয় এবং নেতৃস্থানীয় থাকা নেতা হলেন খায়রুজ্জামান লিটন। এইজন্য জাতীয় চার নেতার সন্তান হিসেবে আওয়ামী লীগে তার একটা আলাদা অবস্থান আছে। খায়রুজ্জামান লিটন অন্তপ্রাণ একজন রাজনীতিবিদ। তিনি কখনওই শেখ হাসিনার আনুগত্যের বাইরে যাননি। এটি তার একটি বড় যোগ্যতা। বৈশ্বিক রাজনৈতিক সম্পর্ক ও সমন্বয়ে খায়রুজ্জামান লিটন পারদর্শী, এমন বিষয়টি নিয়েও চাউর আছে। 

কে হবেন আওয়ামী লীগ সভাপতির কো-পাইলট তা হয়ত তিনিই নির্ধারণ করবেন ভেবেচিন্তে। তবে প্রধানমন্ত্রী তো বলেছেন, নতুনদের জন্য আওয়ামী লীগের দরজা সবসময় খোলা। আওয়ামী লীগের দরজায় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কড়া নাড়ছে নতুন কেউ, বিশ্বস্ত কেউ, সর্বগ্রহণযোগ্য কেউ। নতুন কেউ দায়িত্ব নিচ্ছেন-- এমন সিদ্ধান্তও আসন্ন সম্মেলনে দেখা যেতে পারে। তবে সবার আগে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কে রুখে দেয়ার বাস্তবতা আছে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকেও মনযোগী হতে হচ্ছে টানা তিনবারের ক্ষমতায় থাকা দেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে।  

লেখক: সাংবাদিক ও গবেষক