১১ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪৪ পিএম
বীভৎস দৃশ্য! এরকম ভয়ঙ্কর মৃত্যু এর আগে দেখেছিলাম বিশ্বজিতের। যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচার করতে হবে। কে বা কারা জড়িত- এই মুহূর্তেই সেটা বলতে পারছি না। কারণ এখনো জানা যায় নাই। আমি এমন কথা শুনেছি যে, যারা পাথর দিয়ে থেঁতলে দিয়েছে, তারা রাজনীতি করে না। যারাই এই অপরাধ করে থাকুক- ক্ষমার অযোগ্য এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেটা জানা যাবে। কিন্তু বিএনপির কোনো লোকাল নেতার প্রশ্রয়ে এই ঘটনা ঘটেনি- এটা বিশ্বাস করা অসম্ভব।
বিএনপির নেতৃবৃন্দ! আপনারা সম্ভবত বুঝতে পারছেন না যে, অবস্থা কতটা খারাপ। এটা হতে পারে যে, তারা নিজেরাই এটা করেছে অন্তর্বিবাদের জন্য। কিন্তু তিনজন বা পাঁচজনকে বহিষ্কার করা মোটেও কোনো কার্যকর পন্থা না। ক্লিয়ারলি বিএনপির নিচের লেভেলে কোনো কমান্ড নাই।
আমরা যখন ছাত্র ছিলাম, আমাদেরকে গ্রুপ পানিশমেন্ট দেওয়া হতো। গ্রুপের মধ্যে যারা বিন্দুমাত্র অপরাধ করেনি, তারাও শাস্তি পেত। আপনি যদি গ্রুপ পলিটিক্স করেন- তাহলে গ্রুপ রেসপন্সিব্লিটিও নিতে হবে।
আমার সন্দেহ নাই যে, আজকে যে নারকীয় হত্যাকাণ্ড হয়েছে- এর জন্য একটা লার্জ গ্রুপের শাস্তি পাওয়া উচিত। আপনাদের প্রতি আমার পরামর্শ, আপনারা ঢাকার যুবদল ডিসব্যান্ড করে দিন। এরকম হত্যাকাণ্ডের পর আপনারা বোঝার চেষ্টা করুন যে, সামথিং ইজ সিরিয়াসলি রং। এর দায় ওকে না দিয়ে সততার সঙ্গে সমস্যাটা বোঝার চেষ্টা করুন। সত্যিকারের সমাধান করার চেষ্টা করুন।
যুবদলের পক্ষে কিংবা বিএনপির পক্ষে এই কমিটিকে নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব। কোনো প্রথাগত উদ্যোগ এখন কাজে দেবে না। পরিস্থিতি সিরিয়াস, সমাধানও সিরিয়াস হতে হবে।
বাংলাদেশের মানুষ এই ভয়াবহ রাজনীতি থেকে পরিত্রাণ চায়। সে জন্যই তারা রাস্তায় নেমেছিল এক বছর আগে। বাংলাদেশের মানুষের এই চাওয়াকে আপনাদের সম্মান জানাতে হবে। যারা রাজনীতির নামে চাঁদাবাজি আর খুনোখুনি করছে, এদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করুন। নতুন ব্যাচকে জায়গা দিন।
এই রাজনীতি আপনাদের বিন্দুমাত্র উপকার করবে না। ধ্বংস করবে। সিরিয়াস হোন। বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায় যে, আপনারা এই দেশের ব্যাপারে সিরিয়াস।
লেখক: লেখক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টস