images

মতামত

লেখায় পাঠকের উদ্দেশ্যে কিছু থাকতে হবে

ঢাকা মেইল ডেস্ক

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৫০ পিএম

লেখকের কাজ শুধু সমাজের অসঙ্গতিগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরে নয় বরং মানুষের মাঝে প্রেরণার সঞ্চার করে তাকে নতুনরূপে চিনতে ও বুঝতে শেখানো। তাকে অধিকার সচেতন করে তোলা। কখনো কখনো লেখনী মানুষের সুপ্ত চেতনাকে এমনভাবে আঘাত করে, সে নিজের মধ্যে একটি নতুন সত্তার অস্তিত্ব অনুভব করে।

এই লেখনী কখনো কখনো একজন প্রতিবাদহীন মানুষকেও প্রতিবাদী মানুষরূপে গড়ে তোলে। জাগিয়ে দিতে পারে তার মধ্যে এমন মানবতা যে তার সর্বস্ব বিসর্জন দিয়ে মানুষের কল্যাণ সাধন করে। এ কারণেই হয়তো লেখক সত্তাকে মানবসত্তার উৎকৃষ্ট সত্তাগুলোর একটি বিবেচনা করা হয়।

লেখক কল্পনা নিছক কোনো কল্পনা নয়। বরং আগামীর বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। তার চিন্তা ও কল্পনায় সেটাই বিরাজ করে সেখানে মানুষ হতাশায় নিমজ্জিত। চিন্তাশূন্য মস্তিস্ক। হাজারও বিষণ্নতায় লেখক বিচলিত না হয়ে মানুষের জন্য স্বপ্ন বুনে যান।

লেখক হোক আর পাঠক হোক সবাইকে অনেক বেশি পড়তে হবে। কারণ একজন লেখককে ভালো লিখতে হলে ভালো করে জানতে হবে। ভালো জানলে লেখার মধ্যে গুণগত পরিবর্তন আসে।

কিন্তু আজকাল অনেকেই স্টাডির কাজটি ধারাবাহিক করেন না। ফলে লেখনীর মধ্যে এর একটি প্রকাশও লক্ষ করা যায়। আপনি গল্প লিখছেন, আগে গল্পের কলাকৌশল রপ্ত করুন। দেশি-বিদেশি সাহিত্যের সেরা গল্পগুলো পড়ে ফেলুন।

লেখককে লেখনীর সার্বজনীনতার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পাঠককে লেখক কী দিতে চাচ্ছেন সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি পাঠকের উদ্দেশ্যে লেখকের ম্যাসেজটি গুরুত্ব বহন করতে না পারে, সময়ের সাথে একদিন সেই লেখাটি হারিয়ে যাবে। এ কারণে দেখা যায়, অনেকের লেখাই এক যুগ বা দুই যুগ পরে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে। আবার কয়েক যুগ পরেও অনেকে পাঠকপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে যান। সবই যেন চিন্তা ও কল্পনার খেলা। মননশীলতার পরিচয়।

লেখক: সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও গবেষক