ঢাকা মেইল ডেস্ক
১২ অক্টোবর ২০২৩, ১০:০৬ পিএম
হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর ইসরায়েলকে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার এই প্রতিশ্রুতির পর প্রশ্ন উঠছে, ইউক্রেনের জন্য সহযোগিতাকে জটিলতায় না ফেলে কি ওয়াশিংটন ইসরায়েলকে অস্ত্র দিতে পারবে? বিশেষ করে যখন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থিকে উৎখাত করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত কেউ তার স্থলাভিষিক্ত হননি। বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলছেন উভয় দেশকে তারা সহযোগিতা করতে পারবেন। তবে স্বীকার করছেন চ্যালেঞ্জ থাকবে। কট্টরপন্থি রিপাবলিকানদের একাংশ ইউক্রেনকে সহযোগিতা দিতে রাজি না। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। তবে ইসরায়েলের প্রতি রিপাবলিকানদের সমর্থন শক্তিশালী। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দলটির অনেক প্রতিনিধির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ইসরায়েলকে অতিরিক্ত সহযোগিতা দেওয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের জন্য অর্থকে যুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করছে বাইডেন প্রশাসন।
ফিলিস্তিনে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণহত্যা, নারী-শিশু হত্যায় সহযোগিত দিচ্ছে তারা বাংলাদেশের নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে খুব চিন্তিত। অন্যদিকে গণমাধ্যমের দেখা দৃশ্যগুলো বড় মর্মান্তিক। ফিলিস্তিনের পথে পথে ছড়ানো লাশ, হাসপাতালগুলো আহতদের আহাজারিতে বাতাস ভারি করছে। পুরো ফিলিস্তিনকে একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরায়েল।
ইসরাইল দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্থিনিদের ওপর হামলা চালিয়ে আসলেও তাতে সারা বিশ্ব চুপ। কারো যেন কিছু বলার নেই। ফিলিস্তিনিরা পাথর মেরে ঠেকাতে চেয়েছে ইসরায়েলি আগ্রাসন। আর তার প্রতিবাদে ইসরাইল ভয়ানক সব অস্ত্র দিয়ে পাখির মতো হত্যা করেছে ফিলিস্তিনিদের। অথচ ফিলিস্তিনিদের হিস্যা দিয়ে দিলেই সমস্যা মিটে যায়। কিন্তু সেখানেই যত আপত্তি। আর এই সংকটের মধ্যস্ততা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বানরের পিঠা ভাগের মতো। এখন সেই মধ্যস্ততাকারীরা নৌবহর নিয়ে আসছে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। গত দুই মাস ধরে ইসরায়েলের আচরণে মনে হয়েছিল এরা ফিলিস্তিনিদের সব এলাকাগুলি দখল করে ফেললে সংকট যায়। কিন্তু একটা স্বাধীনতাকামী জাতিকে এভাবে স্তব্ধ করে দেওয়া যায়?
ইসরায়েলের বোমারু বিমান অবরুদ্ধ গাজার বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে বিরতিহীন বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করার পর গত মঙ্গলবার সকালে বিমানবাহিনী হামলা আরও জোরদার করেছে। গাজায় ২৩ লাখ মানুষের খাবার, পানি, বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্যের সরবরাহ বন্ধ থাকায় সেখানে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়।
এদিকে পূর্ব সতর্কতা ছাড়া ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েল নতুন করে বোমা হামলা চালালে জিম্মিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর শুরু করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাশেম ব্রিগেড। আর হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত জিম্মি বিনিময় নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না।
হামাস অনুভব করে তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এরপরই হামাস চালায় এক নজিরবিহীন হামলা। যে হামলায় ইসরায়েলিদের বিশ্বাসে চিড় ধরে গেছে। হামাসের এই অভিযানে ইসরায়েল কার্যত হতভম্ব হয়ে গেছে। ফিলিস্তিনিরা এমন এক সময় ‘আল-আকসা তুফান’ নামের এ অভিযান চালিয়েছে, যখন তাদের অভিযান চালানোর ইচ্ছার কোনো আলামতই পাওয়া যায়নি। আচমকা আক্রমণে ইসরায়েল এমন ভয়াবহ রকমের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, যা তারা কল্পনাও করতে পারেনি। গত ৭৫ বছরের দখলদারিত্বের ইতিহাসে এটি ছিল ফিলিস্তিনিদের কাছে ইসরায়েলিদের জন্য বড় ধরনের সামরিক পরাজয়। ফিলিস্তিনিদের নজিরবিহীন এ অভিযানে নিহত ইসরায়েলির সংখ্যা প্রাথমিক হিসাবে ৩০০। ওই অভিযানে আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৫৯০।
এত বড় এ ঘটনায় ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা ব্যবস্থার দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ ফিলিস্তিনিরা আকাশ ও স্থলপথে এ অভিযান চালিয়েছে। একইসঙ্গে তারা বিভিন্ন টানেলও ব্যবহার করেছে। এ ছাড়া ফিলিস্তিনিরা মেরকাভা ট্যাঙ্কসহ প্রচুর সামরিক সরঞ্জাম হাতিয়ে নিয়েছে, যেসব অস্ত্রের কারণে ইসরাইল গর্ব করতো। ফিলিস্তিনিরা অন্তত ৫০ জন ইসরায়েলিকে আটক করেছে। এরমধ্যে এক জেনারেলসহ বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাও রয়েছে। আরও বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, ইসরায়েলের ব্যয়বহুল আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এ সময় কাজ করেনি এবং ফিলিস্তিনের রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সহজে আকাশসীমা অতিক্রম করে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়।
তবে ফিলিস্তিনিদের রকেট হামলার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, গাজা উপত্যকার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ইসরাইলের ভেতরে বিশাল এলাকায় বিপুলসংখ্যক হামাস সদস্য ঢুকে কিছু সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। তারা কয়েক ডজন ইসরায়েলি সৈন্যকে বন্দি করা ছাড়াও সাঁজোয়া যান এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম দখল করে এবং সেগুলোকে গাজায় এনে রাস্তায় প্রদর্শন করে। ফিলিস্তিনিরা এখানে অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবে ‘স্মার্ট পরিকল্পনা’ ব্যবহার করেছে। অর্থাৎ এমন সময় এ হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়, যখন ইহুদিরা ঐতিহ্যবাহী ‘সুকোত’ উৎসব পালনে ব্যস্ত এবং ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নড়বড়ে চিল।
এরপর প্রতিশোধ নিতে নেমেছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার জবাবে গত শনিবার থেকে গাজায় বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। এরই মধ্যে গত সোমবার উপত্যকাটি সম্পূর্ণভাবে অবরুদ্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হলো। এতে বোমার আঘাতে বিধ্বস্ত গাজায় ভয়ানক মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে।
গাজায় স্থল অভিযানের জন্য সেনা সমাবেশও ঘটানো হয়েছে। এ লক্ষ্যে তিন লাখ সংরক্ষিত সেনাকে বাহিনীতে যুক্ত করেছে ইসরায়েল। গাজা সম্পূর্ণ অবরোধ করার অর্থ হচ্ছে, গাজা উপত্যকায় জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় কোনো কিছুই ঢুকতে দেবে না ইসরায়েল। বিদ্যুৎ, খাবার, গ্যাসসহ সবকিছুই সেখানে বন্ধ থাকবে। গত শনিবার থেকেই গাজায় বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ বন্ধ করা শুরু হয়েছে। ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী গাজা উপত্যকার সীমান্তের বড় অংশ ইসরায়েলের সঙ্গে, বাকিটা মিসরের সঙ্গে। গাজার আকাশপথ ও সৈকত ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। সেখান দিয়ে কারা যেতে পারবে এবং কী পণ্য ঢুকতে পারবে, সে বিষয়ে বিধিনিষেধ রয়েছে ইসরায়েলের। ফলে ইসরায়েল চাইলেই গাজা ঘিরে অবরোধ জারি করতে পারে।
এদিকে ইসরায়েলকে সহায়তার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় রণতরী ইউএসএস জেরার্ল্ড ফোর্ডসহ যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ ওই অঞ্চলের দিকে যাত্রা করেছে। তবে গণমাধ্যম বলছে গত সোমবার ইসরায়েলের বেশকিছু এলাকায় হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর লড়াই চলেছে। এ নিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেন, গাজা সীমান্তের কাছে সব অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন তারা। তবে ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীদের সঙ্গে এখনো বিচ্ছিন্ন লড়াই চলছে। এদিকে পশ্চিম তীরও অবরুদ্ধ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে শহরগুলোর প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেশকিছু জায়গায় বসানো হয়েছে সেনা তল্লাশিচৌকি। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন পশ্চিম তীরের বাসিন্দারা। গতকাল এ অঞ্চলের রামাল্লায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গাজায় প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনির বসবাস। এর মধ্যে হামলার পর ১ লাখ ২৩ হাজার ৫৩৮ ফিলিস্তিনি নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ঘরবাড়ি ছেড়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সংস্থা ওসিএইচএ বলছে, এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৭৩ হাজার বিভিন্ন স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর মুখপাত্র আদনান আবু হাসনা মনে করেন, বাস্তুচ্যুত এই মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে।
গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে রোববার বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। সেদিন থেকেই গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। বিবৃতিতে জাতিসংঘ বলেছে, ইসরায়েল বিদ্যুৎ বন্ধের পর গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটি শেষ সম্বল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে এই কেন্দ্রের জ্বালানি শেষ হয়ে যেতে পারে।
গাজার বেশিরভাগ বিদ্যুৎ আসে ইসরায়েল থেকে। ইসরায়েল থেকে প্রতিদিন ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনে গাজা। আর দিনে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ শক্তি’ প্রয়োগ করবেন তারা। কিন্তু একটা বিষয় স্পষ্ট যে মার্কিন যুক্তরাষ্টসহ তাদের মিত্র দেশগুলো রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের পরে অস্ত্র বিক্রির আরেকটি বাজার পেল। এই যুদ্ধ যেকোনোভাবে তার দীর্ঘস্থায়ী করতে চাইবে। মধ্যপ্রাচ্য অবধি এ যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে হিজবুল্লাহ, ব্রাদারহুডের মতো অনেক সংগঠনই হয়তো এই যুদ্ধে শামিল হবে। তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করবে কারা সেটা সবার জানা। কিন্তু অস্ত্রের বাজার টিকিয়ে রাখতে এখানে মানুষ মারা হবে, শিশু হত্যা হবে। বাস্তুচ্যুত হবে মানুষ।
দশকের পর দশক ধরে চলে আসছে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকট। গত ১৫ বছরে চারবার ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়েছে হামাস। হামাস বলছে, ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার জন্যই তাদের এ পদক্ষেপ। তবে এ সময়ে কেন হামলা চালানো হলো, তার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা যায়নি। পশ্চিমারা এর পেছনে ইরানের হাত দেখছেন, যদিও দেশটি তা অস্বীকার করেছে। কয়েক মাস ধরে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনা ও ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের সংঘাত বাড়ছে। ফিলিস্তিনের গ্রামগুলোতে সশস্ত্র ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। পশ্চিম তীরের শহরগুলোতেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। পরিস্থিতি শান্ত করতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে কাতার। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল–আনসারি গত সোমবার জানান, শনিবার রাত থেকে এ বিষয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। আলোচনা ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে।
মাজেদ আল-আনসারি বলেন, আমাদের অগ্রাধিকার হলো রক্তপাত বন্ধ করা, যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মুক্ত করা এবং সংঘাত যাতে অন্য কোথাও ছড়িয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করা।
কিন্তু এতে কি ইসরাইল রাজি হবে? আলোচনায় বসেও কি তাদের হত্যাযজ্ঞ চলতে থাকবে? এটা বড় প্রশ্ন হলেও অস্ত্র বিক্রি করে সংঘাত টিকিয়ে রাখা যাদের অর্থনীতি সেইসব দেশ ইসরায়েলে হামলায় যে ব্যাথা পেয়েছে সে ব্যাথা তারা কি ভুলবে? তারা কি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সম্পর্ক শীতল করতে দেবে? অস্ত্র ব্যবসা বন্ধ হবে না, মানুষ হত্যা হবে-শিশু হত্যা হবে। খুনের এ বিভৎসতায় বসুন্ধরা কেঁপে উঠলেও ইসরাইল তার আগ্রাসন বন্ধ করবে কি? মানবাধিকারে কথা বলে যারা আহা-উহু করেন আজ তাদের কিছু বলার নেই? তবে হামাসকে যত সহজে নির্মূল করার কথা ভাবছে সেটা বোধ হয় সম্ভব হবে না। স্বাধীনতাকামী কোনো গোষ্ঠীকে যে নির্মূল করা যায় না সে শিক্ষা গত শনিবারের হামলা থেকে ইসরায়েল কি নেয়নি?
লেখক: দীপংকর গৌতম, সাংবাদিক ও গবেষক।