ফিচার ডেস্ক
০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০৫ এএম
বিজ্ঞাপনের দুনিয়ায় রয়েছে অদ্ভুত সব রহস্য। এমন অনেক বিষয় আছে যা প্রতিদিন চোখের সামনে থাকলেও এর কারণ সাধারণ মানুষের মাথায় আসে না। ঘড়ির বিজ্ঞাপনে সবসময় ১০টা ১০ মিনিট দেখানো হয়— এটিও তেমনই রহস্যময় একটি বিষয়। কেন এই নির্দিষ্ট সময়? এর পেছনে কি কোনো গল্প, প্রতীক বা বিপণন কৌশল লুকিয়ে আছে?
আজকের এই প্রতিবেদনে সেই রহস্যের উত্তরই খুঁজে দেখা যাক।
১. ঘড়ির ব্র্যান্ড নাম স্পষ্টভাবে দেখা যায়
অধিকাংশ ঘড়ির কোম্পানি ডায়ালের ঠিক ১২টার নিচে তাদের ব্র্যান্ড নাম লেখেন।
১০:১০ এ দুই কাঁটা উপরের দিকে ‘V’ আকৃতি তৈরি করে, ফলে ব্র্যান্ড নাম সম্পূর্ণ দৃশ্যমান থাকে।
গ্রাহকের চোখ প্রথমেই ব্র্যান্ডে যায়—বিপণনের জন্য এটি দারুণ কার্যকর।

২. দেখতেও সবচেয়ে ‘সিমেট্রিক’ (প্রতিসম)
১০:১০ অবস্থায় ঘড়ির কাঁটাগুলো দুই পাশে সমান দূরত্বে থাকে।
এই প্রতিসম অবস্থা মনস্তাত্ত্বিকভাবে বেশ আকর্ষণীয়।
মানুষ স্বভাবতই সিমেট্রি পছন্দ করে—তাই ঘড়ি দেখতে আরও সুন্দর লাগে।
৩. ঘড়ির ডায়াল যেন হাসছে! (Smiley Effect)
খেয়াল করলে দেখা যাবে, ১০:১০ এ কাঁটাগুলো এমনভাবে থাকে যে ডায়ালটি যেন হাসছে।
এই ‘স্মাইলি ইফেক্ট’ গ্রাহকের মধ্যে ইতিবাচক অনুভূতি সৃষ্টি করে।
বিজ্ঞাপনকে আরও বন্ধুত্বপূর্ণ ও উজ্জ্বল দেখায়—এটিও একটি কৌশল।

আরও পড়ুন: এআই ‘তরুণ’কে বিয়ে করলেন জাপানি তরুণী!
৪. সাফল্য বা বিজয়ের প্রতীক
১০:১০ অবস্থাটি দেখতে অনেকটা “V for Victory” চিহ্নের মতো।
সফলতা, ইতিবাচকতা ও উদ্দীপনার বার্তা দেয়।
ক্রেতার মনে ইতিবাচক প্রভাব তৈরিই বিজ্ঞাপনের লক্ষ্য।
ভুল ধারণা ও জনপ্রিয় মিথ ভেঙে দেখা
ঘড়ির আবিষ্কারের সময় ১০:১০ ছিল—এ ধারণা ভুল।
এর কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই।
হিরোশিমায় বোমা হামলার সময় ১০:১০—এটিও সত্য নয়।
বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছিল সকাল ৮:১০-এ।
আব্রাহাম লিঙ্কনকে যে সময়ে গুলি করা হয়েছিল সেটি ১০:১০ ছিল—এটিও মিথ।
তাকে গুলি করা হয় রাত ১০:১৫, এবং পরদিন ভোরে মৃত্যু হয়।

আসল কারণ কী?
সব দিক মিলিয়ে দেখা যায়—
* দর্শনীয়তা
* ব্র্যান্ড চোখে পড়া
* ইতিবাচক অনুভূতি
* সিমেট্রি ও সৌন্দর্য
এই চারটি কারণেই ঘড়ির বিজ্ঞাপনে ১০:১০ সময় দেখানো হয়।
এজেড