নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯ মে ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম
কুড়িগ্রামের আলোচিত ‘রিকতা আক্তার বানু (লুৎফা) বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে’র পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্বখ্যাত জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ডেটল। কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা সরকারপাড়ায় স্থাপিত এই ব্যতিক্রমী স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য। যেন এসব শিশুরা কারও বোঝা না হয়, কেউ যেন তাদের উপেক্ষা না করে এবং তারা যেন দেশের সম্পদ হিসেবে গড়ে ওঠে।
২০০৯ সালে এই বিশেষ স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স রিকতা আক্তার বানু। রিকতার মেয়ে অটিজম ও সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত। মেয়েকে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাকে ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু হাল ছাড়েননি রিকতা। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের কথা ভেবে ব্যক্তি উদ্যোগে এই স্কুলটি চালু করেন, যা প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার বাইরে থাকা শিশুদের বিকাশে হয়ে ওঠে নিরাপদ আশ্রয়।
রিকতার এই অনন্য প্রচেষ্টার স্বীকৃতি এসেছে আন্তর্জাতিকভাবে। প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে এমন উদ্যোগের জন্যে ২০২৪ সালে বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি বিভাগে বিবিসির ১০০ জন প্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী নারীর তালিকায় জায়গা করে নেন তিনি।
রিকতার এমন মহৎ উদ্যোগকে সম্মান জানিয়ে এক বছরের জন্য স্কুলটিতে জীবাণুনাশক ও হাইজিন পণ্য সরবরাহ করছে ডেটল। পাশাপাশি দিয়েছে ৫০ হাজার টাকা নগদ অনুদান, যা টয়লেট নির্মাণ ও পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ গড়ে তোলায় ব্র্যান্ডটির প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
ডেটল এর ব্র্যান্ড ম্যানেজার মো. আমিন-উল-বশির আলভী বলেন, ডেটল বিশ্বাস করে, প্রতিটি শিশুর একটি পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ পরিবেশে বড় হওয়ার ও শেখার অধিকার আছে। আর সেটা তাদের শারীরিক বা মানসিক সক্ষমতা যেমনই হোক। রিকতা আক্তার বানুর হার না মানা সংকল্প ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের প্রতি সহানুভূতি আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। তার পথচলা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, অনেক সময় একজন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মানুষের হাত ধরেই সত্যিকারের পরিবর্তন শুরু হয়।
ডেটলের সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ডেটল বাংলাদেশে সফলতার সাথে ৭৫ বছর অতিক্রম করেছে। ডেটল তার সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখার জন্য মানুষদের সম্মানিত করছে। রিকতা আক্তার বানুর জীবনের গল্পটা সমাজের জন্য বেশ অনুপ্রেরনাদায়ক। রিকতা আক্তার বানুর এই উদ্যোগের পাশে থাকা মানে আমাদের শিশু, সমাজ ও ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করার অভিন্ন লক্ষ্যকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া।
তাই এই সহযোগিতা ডেটলের লক্ষ্যকে প্রতিফলিত করে। যার উদ্দেশ্য সমাজের প্রান্তিক পর্যায় থেকে একটি পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত পৃথিবী গড়ে তোলা। যেখানে চাহিদা বেশি এবং সামান্য পরিবর্তনও গভীর প্রভাব রাখে।
এজেড