images

অফবিট

অবশেষে মানুষের চামড়ায় তৈরি বইয়ের প্রচ্ছদ সরালো হার্ভার্ড

ঢাকা মেইল ডেস্ক

৩০ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩৩ পিএম

১৮৮০ সালের দিকে ফরাসি দার্শনিক ও ঔপন্যাসিক আর্সেন হোস্যে ‘দে দেসতিনে দে লা’মো’ বা আত্মার নিয়তি বইটির প্রচ্ছদ তৈরি করা হয়েছিল মানুষের চামড়া দিয়ে। আর্সেন হোস্যের সেই বইটি গত প্রায় ৯০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরিতে রক্ষিত আছে। অবশেষে প্রায় ১৪০ বছর পর গত বুধবার কভারটি সরিয়ে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যার চামড়া ব্যবহৃত হয়েছিল, তার মর্যাদাহানির অভিযোগ উঠছিল। তাই প্রচ্ছদটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

যদিও যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীন এই বিশ্ববিদ্যালয়টির দাবি, একসময় বইয়ের কভারে ব্যাপকভাবে মৃত মানুষের চামড়ার ব্যবহারের প্রচলন ছিল। ২০১৪ সালে এক পরীক্ষায় জানা যায়, বইটিতে ব্যবহৃত মানব চামড়াটি এক নারীর। ওই নারী মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন এবং মৃত্যুর পর কেউই তার লাশ দাবি করতে আসেনি।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানায়, ‘দে দেসতিনে দে লা’মো’ বইটির প্রচ্ছদ নিয়ে প্রথম গবেষণা হয় ২০১৪ সালে। সে সময় গবেষকেরা পরীক্ষা করে দেখেন, বইটির প্রচ্ছদ মানুষের চামড়া দিয়ে তৈরি। তবে বইটির লেখক আর্সেন হোস্যে এই কাজ করেননি। একজন নারীর চামড়া দিয়ে কাজটি করেছেন তার বন্ধু চিকিৎসাবিদ ড. লুদভিক বোল্যান্ড।

আর্সেন হোস্যে ১৯৩৪ সালে হার্ভার্ডে আসেন। সে সময় তার বন্ধু ড. বোল্যান্ড মানুষের বইটির একটি কপি লেখকের কাছে পাঠান। সেই সঙ্গে তিনি একটি চিরকুটও লিখেছিলেন— আমি একজন নারীর পিঠের চামড়া দিয়ে বইটি বাঁধাই করেছি। মানুষের আত্মা সম্পর্কে একটি বই মানুষের চামড়া দিয়ে বাঁধাই পাওয়ার যোগ্য।