নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ মে ২০২৩, ০৩:৪৫ পিএম
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান দাবি করেছেন, প্রথমবারের মতো কোনো ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা করল বাংলাদেশ যেখানে কোনো মৃত্যু সংবাদ নেই। তিনি বলেন, এজন্য আমরা এটাকে বিশাল সফলতা বলছি। কারণ প্রাণহানিটাই সবচেয়ে বড় লস।
সোমবার (১৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় মোখা পরবর্তী ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় যখন বাংলাদেশ অতিক্রম করে সেই সময় সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ১৪৭ কিলোমিটার, কক্সবাজার ও টেকনাফে ছিল ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার শতভাগ মানুষকে আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে পেরেছিলাম। এ কারণে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ঘুর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অনেক গাছপালা পড়েছে, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে দুই হাজারের মতো ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। ১০ হাজারের বেশি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছচাপা পড়ে কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আর তেমন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘূর্ণিঝড় মোখা সফলভাবে মোকাবেলা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সবকিছুই রিকভার করা যায়, কিন্তু মানুষের জীবনটা আর ফিরিয়ে আনা যায় না। প্রধানমন্ত্রী সবসময় নির্দেশ দিয়েছেন একটি লোকও যেন আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরে না থাকে, একটি লোকও যেন মৃত্যুর ঝুঁকিতে না থাকে। বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে সবাই বাড়ি ফিরে গেছে।
ডা. এনামুর রহমান বলেন, সংকেত যতক্ষণ ১০ ছিল ততক্ষণ আমরা কাউকে যেতে দিইনি। যেতে চেয়েছে, কিন্তু প্রশাসন যেতে দেয়নি। সিগন্যাল কমানোয় তারা স্বেচ্ছায় চলে গেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যাদের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে তাদের পুনর্বাসনের জন্য টিন ও নগদ টাকা পাঠানোর জন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। সচিব মহোদয়কে বলেছি উনি মাঠপর্যায় থেকে তালিকা চেয়েছেন। তালিকা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর চাহিদা অনুযায়ী সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া জেলাগুলোতেও মানবিক সহযোগিতা মজুদ থাকে। একান্ত জরুরি যেগুলো, সেগুলো তারা সরবরাহ করে। তাদের কাছে ২০০ বান্ডিল টিন, ১০ লাখ টাকা, ২০০ মেট্রিক টন চাল ও দুই হাজার প্যাকেট খাবার থাকে। এখান থেকে তারা জরুরি প্রয়োজনগুলো মেটাতে পারবে।
ডব্লিউএইচ/জেবি