নিজস্ব প্রতিবেদক
১৪ মে ২০২৩, ০৯:৩৩ পিএম
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, শওকত ওসমানকে বলা হয় জাতির কথাশিল্পী। তার লেখনীতে ফুটে ওঠেছে প্রতিবাদের ভাষ্য, আধুনিকতা ও সমাজ বাস্তবতা। সমাজের সব জঞ্জাল, অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর যে কয়জন মানুষ চরম প্রতিবাদ করেছেন তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি দেশান্তরী হয়েছেন। তিনি আজন্ম শোষকের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।
রোববার (১৪ মে) রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কথাশিল্পী শওকত ওসমান এর ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কথাশিল্পী শওকত ওসমান স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বরেণ্য কবি, লেখক ও সাহিত্যিকদের সৃজনকর্ম সংরক্ষণ ও তা নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসাবে অতিদ্রুত বাংলা একাডেমি থেকে শওকত ওসমান স্মারকগ্রন্থ ও রচনাবলী প্রকাশিত হবে। তাছাড়া বাংলা একাডেমি থেকে শওকত ওসমানের নামে একটি ফেলোশিপ প্রদান করারও উদ্যোগ নেয়া হবে।
কে এম খালিদ বলেন, জাতীয় জাদুঘরের পক্ষ থেকে প্রতিবছর যেসব বরেণ্য ব্যক্তিত্বদের স্মরণে আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়, সে তালিকায় এখন থেকে শওকত ওসমানের নাম অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কথাশিল্পী শওকত ওসমান এর পুত্র এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। তিনি বলেন, আমার বাবা শওকত ওসমান ছিলেন সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মানবপ্রেমিক হিসাবে তিনি আজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, বাবার নিকট থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে এ মহৎ গুণটি পেয়েছি বলেই অদ্যাবধি সততার প্রতি অটল ও অবিচল থাকতে পেরেছি। কোন লোভ বা মোহ আমাকে বিচ্যুত করতে পারেনি।
ইয়াফেস ওসমান বলেন, আমাদের নিজেদের প্রয়োজনেই এ মহান মানুষগুলোকে আমাদের স্মরণ করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, সন্তানের সঙ্গে মা-বাবার সুসম্পর্ক গড়ে তোলা জরুরি। অন্যথায় তাদের সঠিক পথে পরিচালিত করা কঠিন।
দৈনিক কালবেলা’র প্রধান সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা রাখেন কথাশিল্পী শওকত ওসমান স্মৃতি পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক ড. দিপু সিদ্দিকী। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন ব্যাংক কর্মকর্তা মেরিন নাজনীন।
ডিএইচডি/এমএইচটি