নিজস্ব প্রতিবেদক
১৪ মে ২০২৩, ০৩:০৭ পিএম
উপকূলজুড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র তাণ্ডব শুরু হলেও বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিড এখন পর্যন্ত দেশের সর্বত্র চালু রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার (১৪ মে) দুপুরে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।
পিজিসিবি বলছে, দুর্যোগের সময়ে বিদ্যুতের উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণে যেকোনো রকম অপ্রত্যাশিত তারতম্য ঘটলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লোড ডেসপাস কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বরত পিজিসিবির কর্মীরা সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছেন। স্ক্যাডা ও কমিউনিকেশন উইংয়ে কর্মরত পিজিসিবির কর্মীরাও পরিস্থিতি মনিটরিংয়ে রাখছেন।
সূত্র আরও জানিয়েছে, উপকূলীয় অঞ্চলের গ্রিড লাইন ও গ্রিড উপকেন্দ্রগুলো সচল রাখতে মাঠপর্যায়ের কর্মীরা সার্বক্ষণিক সতর্ক নজরদারি করছেন।
বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ একটি সমন্বিত সিস্টেম। একটির ওপর অপরটি নির্ভরশীল উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে যেকোনোটি বিপর্যস্ত হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ হতে পারে। এছাড়া বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনাজনিত জানমালের ক্ষতি এড়াতে প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন উপদ্রত এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার প্রয়োজন হতে পারে।
এরকম পরিস্থিতিতে ধৈর্যধারণ করে বিদ্যুৎ খাতের সংস্থাগুলোকে সহায়তা করতে সম্মানিত গ্রাহকদের বিনীতভাবে অনুরোধ জানিয়েছে পিজিসিবি।
এদিকে রোববার (১৪ মে) দুপুরে সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সুখবর হচ্ছে মোখার যে ভয়াবহতা আশঙ্কা করা হয়েছিল, সেটা কেটে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও খুব বেশি একটা হয়নি। খুব দ্রুতই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ভাসমান টার্মিনালের একটি লাইন থেকে খুলে গিয়েছে, অন্যটি সংযুক্ত আছে। সংযুক্ত থাকা টার্মিনালের মাধ্যমে দুই একদিনের মধ্যেই গ্যাস সরবরাহ শুরু করা হবে।
তিনি আরও জানান, সংযোগহীন টার্মিনালের মেরামতের কাজ করতে ১২ থেকে ১৫ দিন সময় লাগবে। এতে ৪০০ এমএমসিএফ গ্যাসের ঘাটতি হতে পারে। ফলে কিছু কিছু জায়গায় লোডশেডিং হবে, তবে গতকালের মতো বড় আকারে নয়।
টিএই/জেবি