images

জাতীয়

‘মোখা’ মোকাবিলায় প্রস্তুত কোস্ট গার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

১১ মে ২০২৩, ০১:৪৯ পিএম

দেশের উপকূলবর্তী এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানার সময় ও পরবর্তী সময়ে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে কোস্ট গার্ড দর দফতর থেকে পাঠানো এক ক্ষুদ্রে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কোস্ট গার্ড জানায়, ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানার সময় ও পরবর্তী সময়ে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা, উদ্ধার কাজ এবং ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে কোস্ট গার্ড। সেই লক্ষ্যে কোস্ট গার্ডের সব ঘাঁটি, জাহাজ, বোট, স্টেশন, আউটপোস্ট ও  ডিজাস্টার রেসপন্স অ্যান্ড রেস্কিউ টিম প্রস্তুত রয়েছে।

এদিকে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি প্রবল শক্তি সঞ্চয় করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। যা ক্রমেই আরও ঘনীভূত হয়ে রূপ নেবে ঘূর্ণিঝড়ে। তবে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় সরকার ইতোমধ্যেই সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই উপকূলে পৌঁছে গেছে শুকনো খাবার। পাশাপাশি পর্যায়ক্রমে চাল ও নগদ ২০ লাখ টাকা পৌঁছে যাবে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও প্রস্তুত আছে।

সকালে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় পরিণত হয়েছে। এটি বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। 

ঘূর্ণিঝড়ের কারণ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

কেআর/এএস