images

জাতীয়

সোনার বাংলা এক্সপ্রেসে যান্ত্রিক ত্রুটি, কমলাপুর ছাড়েনি ২ ঘণ্টায়ও

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৩২ এএম

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কমলাপুরে আটকা পড়েছে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস। ঘরমুখো মানুষদের নিয়ে পঞ্চম ট্রিপ শেষে ষষ্ঠ ট্রিপে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল ট্রেনটির। তবে নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা পরও কমলাপুর ছেড়ে যেতে পারেনি সোনার বাংলা এক্সপ্রেস।

গত রোববার সন্ধ্যায় কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে স্টেশনে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সোনার বাংলা ট্রেনের ইঞ্জিনসহ বেশ কয়েকটি বগি। ওই দুর্ঘটনায় এরই মধ্যে ট্রেনটির চালক-সহকারী ছাড়াও এক গার্ডকে সাময়িকভাবে বরখাস্তও করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর তড়িঘড়ি করে সদ্য আমদানি করা কোরিয়ান কোচ দিয়ে রেক সাজিয়ে ঈদযাত্রা শুরু করেছিল ট্রেনটি।

এরই মধ্যে পাঁচটি ট্রিপও শেষ করেছে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস। তবে ষষ্ঠ ট্রিপে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৭টায় কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সকাল সাড়ে ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্টেশনেই দাঁড়িয়ে ছিল ট্রেনটি।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মূলত ট্রেনের কোচের ব্রেকিং সিস্টেম সচল রাখতে ভ্যাকুয়াম প্রেসার ৫ প্রয়োজন হয়। কিন্তু কোনোভাবেই সেই প্রেসার রেট ২ দশমিক ৫ এর ওপরে উঠছে না। শুরুতে ৩ হাজার সিরিজের একটি লোকমোটিভ ব্যবহার করলে সেটি ঠিকঠাক কাজ করছিল না। পরে সেটি পরিবর্তন করে ২৯১৫ নম্বর লোকমোটিভ ব্যবহার করলে ভ্যাকুয়াম প্রেসার ৪ পর্যন্ত উঠেছে। কিন্তু এটি নিয়েও রেক চালানো সম্ভব না। এতে ব্রেক ফেল হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

এ ঘটনায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (পূর্ব) তাপস কুমার দাস, জুনিয়র বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (পূর্ব) বোরহান উদ্দিন, কোচ সংগ্রহ প্রকল্পের বর্তমান প্রকল্প পরিচালক পার্থ সরকার, ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সফিকুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইতোমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেই সঙ্গে দ্রুতই এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছেন তারা।

উল্লেখ্য, মুসলিমদের বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতরকে ঘিরে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের পানে ছুটছে মানুষ। গত মঙ্গলবার সরকারি চাকরিজীবীদের ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস থাকায় ওইদিন রাত থেকেই পুরোদমে শুরু হয় ঈদযাত্রা। পরদিন বুধবারও সকাল থেকেই প্রচণ্ড ভিড় যায় ঘরমুখো যাত্রীদের। সবশেষ বৃহস্পতিবারও রেল স্টেশন, বাসস্ট্যাড কিংবা ফেরিঘাট সবখানেই ছিল একই চিত্র।

/আইএইচ