নিজস্ব প্রতিবেদক
১২ এপ্রিল ২০২৩, ১১:২০ এএম
রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ। এখনো তাঁর দাফন ও জানাজার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।
তবে বুধবার (১২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অনুষ্ঠেয় ওই সংবাদ সম্মেলনে পরবর্তী বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন ও শ্রদ্ধা নিবেদন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আলতাফুন্নেছা।
এদিকে, বুধবার এক শোকবার্তায় ডা. জাফরুল্লাহর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকবার্তায় সরকারপ্রধান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ঔষধ শিল্প ও জনস্বাস্থ্য খাতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ৮২ বছর বয়সী ডা. জাফরুল্লাহ কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন বহু বছর ধরে। কয়েক দিন আগে তার বার্ধক্যজনিত জটিলতাগুলো খারাপের দিকে যায়। এমন অবস্থায় গত বুধবার (৫ এপ্রিল) গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গত রোববার (৯ এপ্রিল) তার চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এর প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মামুন মোস্তাফী।
১৯৭১ সালে জাফরুল্লাহ চৌধুরী যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে ভারতের আগরতলায় গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে তা পরিচালনা করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর সেই হাসপাতালের নামেই একটি প্রতিষ্ঠান গড়তে চেয়েছিলেন। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলোচনা করে নাম ঠিক করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
হাসপাতালের পাশাপাশি ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিও গড়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ১৯৮২ সালে দেশে প্রথমবারের মতো ঔষধ নীতি প্রণয়নেও তাঁর ভূমিকা ছিল।
/আইএইচ