জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
১২ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:২০ এএম
না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের টানে বিদেশ থেকে ছুটে এসে আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসায় গঠন করেছিলেন প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল। চিকিৎসা প্রান্তিক পর্যায়ে চিকিৎসা সেবা ছড়িয়ে দিতে পরবর্তীতে গড়ে তোলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। আমৃত্যু সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলা এই মানুষটির মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার ঘনিষ্ঠজন, শুভানুধ্যায়ীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে।
মঙ্গলবার রাতে তার মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই শোক প্রকাশ করে তার আত্মার শান্তি কামনা করছেন। অনেকেই আপনজন হারানোর মতো শোকাহত হয়ে পড়েছেন।
কেউ আবার মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে শেষ জীবন পর্যন্ত তার কর্মময় জীবন নিয়ে তথ্য শেয়ার করছেন নিজেদের ওয়ালে।
সাংবাদিক আহসান হিমেল লিখেছেন, হয়তো অনেকের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অনেক কথা পছন্দ না। স্মার্ট নাগরিক সমাজের ভীড়ে অনেকে ভুলে যাবেন জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কথা। আমি মনে রাখবো শত ব্যস্ততার ভীড়ে এলোমেলো শার্টের বোতাম লাগানো একজন সাদা মনের মানুষের কথা। যে কী না দেশটা নিয়েই ভাবতেন। বলতেন গণমানুষের কথা। বিদায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে নিজের ছবি পোস্ট করে আহমেদ সালেহীন লিখেছেন, সবসময় যার মুখে লেগে থাকতো হাসি, নিষ্ঠুর সত্যে তিনি ছিলেন অবিচল, যার কাছে দেশপ্রেম কি শিখেছি, যিনি শিখিয়েছেন অতি সাধারণ হয়েও কিভাবে অসাধারণ কিছু করা যায়। তিনি সত্যিই এ দেশের, এ মাটিরই মানুষ। ভালো থাকবেন, যেখানেই থাকবেন স্যার।
আর মোর্শেদ হাসিব তার মৃত্যুর খবর জানিয়ে লিখেছেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মারা গেছেন। সৃষ্টিকর্তা তাকে বেহেশত নসিব করবেন। এমন সাহসি লোক এদেশে এখন আর বাকি কজন আছে?
শোকের চিহ্ন দিয়ে মুজাহিদ শুভ ফেসবুকে লিখেছেন, মানুষের মেরুদন্ড কত শক্ত আর মাথা কত উঁচু হয়, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার সর্বোত্তম উদাহরণ। আল্লাহ বেহেশত নসীব করুন।
ডা. মাহফিল আরা রহমান ফেসবুকে লিখেছেন, কত ভয় পেতাম আপনাকে। অথচ কত সাধারণ এবং অমায়িক ছিলেন আপনি। আপনি ছাড়া গণস্বাস্থ্য পরিবার কল্পনা করা যায় না। ওপাড়ে ভালো থাকবেন স্যার।
রাজনীতিবিদ মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ লিখেছেন, এই সংকটময় মুহূর্তে আপনার চলে যাওয়া আমাদের আরো এক ধাপ পিছিয়ে দিলো। আপনি জাগ্রত থাকবেন আমাদের ভালবাসায়,বাংলাদেশের মানচিত্র ও পতাকায়।
বিইউ/একে