নিজস্ব প্রতিবেদক
১২ এপ্রিল ২০২৩, ০১:৪৮ এএম
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় কয়েকদিন ধরে তার প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। এরপরও দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাননি ডা.জাফরুল্লাহ। গণস্বাস্থ্যেই নিতে চেয়েছিলেন শেষ চিকিৎসা।
চার দিন আগে নিজের প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তার অন্তিম ইচ্ছা ছিল— গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রেই তিনি চিকিৎসা নিয়ে মরতে চান। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার কথা বলা হলেও তিনি রাজি হননি।
এর আগে সোমবার এ তথ্য জানিয়েছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু। তিনি জানিয়েছিলেন, ওনাকে নিয়ে আমরা খুব দুশ্চিন্তায় আছি। সব দিক থেকে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে; কিন্তু ওনার পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে না।
উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে তিনি জানান, স্যারের ইচ্ছার বাইরে গিয়ে আমরা কিছু করছি না। করোনার সময় ওনার অবস্থা এখানকার চেয়েও বেশি খারাপ ছিল। কিন্তু ওনার ইচ্ছা হলো— গণস্বাস্থ্যের বাইরে কোনো চিকিৎসা নেবেন না। এমনকি দেশের বাইরেও চিকিৎসার জন্য যাবেন না, এটিই ওনার শেষ কথা।
এর আগে রোববার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে। মেডিকেল বোর্ডে কিডনি, মেডিসিন, ভাসকুলার সার্জন, বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, ইনটেনসিভিস্ট চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের রাখা হয়েছে।
৮২ বছর বয়সি ডা. জাফরুল্লাহ কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন বহু বছর ধরে। কয়েক দিন আগে তার বার্ধক্যজনিত জটিলতাগুলো খারাপের দিকে যায়।
১৯৭১ সালে জাফরুল্লাহ চৌধুরী যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে ভারতের আগরতলায় গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে তা পরিচালনা করেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর সেই হাসপাতালের নামেই একটি প্রতিষ্ঠান গড়তে চেয়েছিলেন। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলোচনা করে নাম ঠিক করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
হাসপাতালের পাশাপাশি ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিও গড়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ১৯৮২ সালে দেশে প্রথমবারের মতো ঔষধ নীতি প্রণয়নেও তার ভূমিকা ছিল।
একে