images

জাতীয়

ঈদের আগেই বড় লোকসান, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৪ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৩৯ এএম

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে জ্বলছে রাজধানীর বঙ্গবাজার। পুড়ছে মার্কেটের পর মার্কেট। ছাই হয়েছে হাজারো দোকান। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে মজুত করা নতুন কাপড়ে স্বপ্ন বুনেছিলেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ঈদের আগেই বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। নিঃস্ব হয়ে গেছেন অনেকে। 

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টার দিকে বঙ্গবভনে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে সকাল ৬টা ১০ মিনিটের দিকে বিভিন্ন ইউনিটকে সেখানে যাওয়ার অনুরোধ করে ফায়ার সার্ভিসের সদর দফতর। এরপর ৬টা ১২ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার ফাইটারদের প্রথম ইউনিট। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট। 

এদিকে ভয়াবহ আগুনে বঙ্গবাজারের টিনশেডের পুরো মার্কেট পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ড ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের বিভিন্ন মার্কেটেও। চোখে মুখে হতাশার ছাপ দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের। কান্নায় ভেঙে পড়ছেন অনেকে। নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হতে দেখে কষ্ট সহ্য করতে না পেরে অনেক ব্যবসায়ী ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করছেন আগুনে দিকে।

মাসুদ নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘সেহরি খেয়ে ঘুমাইছিলাম। পৌনে ৭টার দিকের আগুনের খবর পাই। দ্রুত এসেছি, কিন্তু কিছুই বের করতে পারি নাই। আমার দোকানে সব শিশুদের কাপড়। প্রায় ৩০ লাখ টাকার কাপড় ছিল। কোনো মালামাল বের করতে পারিনি।’

সবুজ নামের এক ব্যবসায়ী জানান, ‘ঈদ উপলক্ষ্য ২০ লাখ টাকার নতুন কাপড় দোকানে তুলি। মুহূর্তেই সব পুড়ে গেছে। কিছুই বের করতে পারি নাই। সব মিলে প্রায় ৫০ লাখ টাকার কাপড় পুড়ে গেছে।’

মোহাম্মদ বেল্লাল হোসেন, তিনি ইনসাফ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমার দোকানে ১০ লাখ টাকার মালামাল ছিল। কিছুই বের করতে পারি নাই।’

কান্না জড়িত কণ্ঠে শাড়ি ব্যবসায়ী আবুল হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমার দোকানে দেড় কোটি টাকার মাল ছিল। কিছুই বের করতে পারি নাই। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’

সিরাজুল ইসলাম নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমার দোকানে ২০ লাখ টাকার পোশাক ছিল। আমি প্রায় অর্ধেক পণ্য বের করতে পেরেছি, কিন্তু সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। পানির কারণে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।’

ব্যবসায়ী রাকিব বলেন, তিনি তার দোকান থেকে এক টুকরো কাপড়ও বের করতে পারেননি।

এইউ