images

জাতীয়

বঙ্গবাজারে নিঃস্ব ব্যবসায়ীদের কান্না

খলিলুর রহমান

০৪ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:৩৩ এএম

সেহরি খেয়ে ঘুমাইছিলাম। পৌনে ৭টার দিকের আগুনের খবর পাই। দ্রুত এসেছি, কিন্তু কিছুই বের করতে পারি নাই— কথাগুলো বলছিলেন বঙ্গমার্কেটের ব্যবসায়ী মাসুদ। 

তিনি বলেন, আমার দোকানে সব শিশুদের কাপড়। প্রায় ৩০ লাখ টাকার কাপড় ছিল। কোনো মালামাল বের করতে পারিনি। 

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকালে রাজধানী বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনায় এভাবেই বিলাপ করে কথাগুলো বলছিলেন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে একে একে ৪৩টি ইউনিট কাজ করছে আগুন নিয়ন্ত্রণে। এ সময় আগুনে নিঃস্ব হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে শতশত ব্যবসায়ীকে। 

সবুজ নামের এক ব্যবসায়ী জানান, ‘ঈদ উপলক্ষ্য ২০ লাখ টাকার নতুন কাপড় দোকানে তুলি। মুহূর্তেই সব পুড়ে গেছে। কিছুই বের করতে পারি নাই। সব মিলে প্রায় ৫০ লাখ টাকার কাপড় পুড়ে গেছে।’

মোহাম্মদ বেল্লাল হোসেন, তিনি ইনসাফ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমার দোকানে ১০ লাখ টাকার মালামাল ছিল। কিছুই বের করতে পারি নাই।’

কান্না জড়িত কণ্ঠে শাড়ি ব্যবসায়ী আবুল হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমার দোকানে দেড় কোটি টাকার মাল ছিল। কিছুই বের করতে পারি নাই। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সকাল ৬টা ১০ মিনিটের দিকে বিভিন্ন ইউনিটকে সেখানে যাওয়ার অনুরোধ করে। এরপর ৬টা ১২ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার ফাইটারদের প্রথম ইউনিট।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক বলেন, বঙ্গবাজার মার্কেট আগুন লাগার খবর পেয়ে আমাদের বিভিন্ন ইউনিটকে সেখানে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত আমাদের ৪৩টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এছাড়া একের পর এক ইউনিট ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছে। 

তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা সম্ভব হয়নি। 

কেআর/এইউ