images

জাতীয়

স্বাধীনতা দিবস ঘিরে থাকছে একগুচ্ছ কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ মার্চ ২০২৩, ০৩:৫৮ পিএম

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আগামী ২৬ মার্চ একগুচ্ছ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (২৪ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ওইদিন ভোরে ঢাকাসহ সারাদেশে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবসের সূচনা হবে। পাশাপাশি সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

এছাড়াও বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

>> আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

দিবসটিকে ঘিরে এ দিন সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা এবং ঢাকা শহরে সহজে দৃশ্যমান ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সেই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনা আলোকসজ্জায় সজ্জিত করার কথা বলা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে। তবে ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যার কালরাতে আলোকসজ্জা করা যাবে না।

এছাড়া দিবসটিকে ঘিরে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ছাড়াও সড়কদ্বীপ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে। সেই সঙ্গে ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিভিন্ন বাহিনীর বাদক দল বাদ্য বাজাবেন।

এদিকে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।

>> আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকা ব্যবহারের নিয়ম

অন্যদিকে মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ডাক বিভাগ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করবে। এছাড়াও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। সেই সঙ্গে দেশের সব হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।

দিবসটিকে ঘিরে এ দিন দেশের সব শিশুপার্ক ও জাদুঘরগুলো বিনা টিকিটে উন্মুক্ত রাখা হবে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রাবন্দর এবং ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জের পাগলা, বরিশাল ও চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের জাহাজ ওইদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।

এছাড়াও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের পাশাপাশি বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে একই রকম কর্মসূচি পালন করা হবে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

ডিএইচডি/আইএইচ