জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৮ মার্চ ২০২৩, ০৭:৪৮ পিএম
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের দ্বিতীয় দিনে আরও দুইটি লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল। এ নিয়ে ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
ইতোমধ্যে দ্বিতীয় দিনে উদ্ধার হওয়া লাশদুটির পরিচয়ও শনাক্ত হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর লাশদুটির পরিচয় জানা যায়। এরমধ্যে একটি লাশ নিখোঁজ থাকা মমিনুদ্দিন সুমনের। তিনি একটি স্যানেটারি দোকানের মালিক বলে জানা গেছে। এছাড়া দ্বিতীয় লাশটি নিখোঁজ থাকা রবিন হোসেনের।
বুধবার (৮ মার্চ) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা জোনের পরিচালক আক্তারুজ্জামান লাশদুটি উদ্ধারের কথা জানান।
এদিকে, উদ্ধারকর্মীদের একজন ঢাকা মেইলকে জানিয়েছেন, রবিনের মরদেহ যখন উদ্ধার করা হচ্ছিল, তখন তার পকেটে দুটি মোবাইল পাওয়া যায়। সঙ্গে ২০০ টাকাও পাওয়া যায়। পরে সেই মোবাইল দুটিসহ উদ্ধার হওয়া টাকা ফায়ার সার্ভিসকে বুঝিয়ে দেন তিনি। এরপর সেগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হয় বংশাল থানা পুলিশকে।
উদ্ধারকারী দলে থাকা এই সদস্য আরও জানিয়েছেন, রবিনের পকেট থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইলদুটি লাশ উদ্ধারের সময়ও চালু ছিল। তবে তাতে ছিল রক্তের দাগ।
অন্যদিকে, লাশ উদ্ধারের পর ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জোনের পরিচালক আক্তারুজ্জামান সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংকালেও তিনি যে ডায়াসে দাঁড়িয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন, সেটির এক কোণায় রাখা হয়েছিল সেই মোবাইলদুটি। ওই সময় একটি মোবাইলে রিং বেজেই চলছিল।
পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সংবাদ সম্মেলনের সময় যে ফোনে রিং বেজে উঠেছিল সেটি ছিল রবিনের। উদ্ধারকর্মীরা ফোনদুটি ফায়ার সার্ভিসের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দেওয়ার পরপরই ওই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
সবশেষ সন্ধ্যা ৬টার দিকে রবিনের পকেটে পাওয়া মোবাইল দুটি বুঝিয়ে দেওয়া হয় বংশাল থানা পুলিশের হাতে। ওই সময় মোবাইলের মালিকানা দাবি করেন এক যুবক। তবে পুলিশ তাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে থানায় হাজির হতে বলে। সেই সঙ্গে জানায় প্রমাণ দেখাতে পারলে তবেই তাকে মোবাইল দেওয়া হবে।
বুধবার দ্বিতীয় দিনের অভিযানে এই দুটি মুঠোফোন ছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে আরও দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে বাকি দুটি মোবাইলের মালিক কে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
এমআইকে/আইএইচ