images

জাতীয়

বিস্ফোরিত ভবনে প্রাণের সন্ধানে ডগ স্কোয়াড

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

০৮ মার্চ ২০২৩, ০১:০৭ পিএম

রাজধানীর গুলিস্তানের পাশে সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনো মানুষ আটকে পড়ে আছে কি না তা খুঁজতে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ডগ স্কোয়াড আনা হয়েছে।

বুধবার (৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিধ্বস্ত ভবনের পাশে একটি গলিতে দেখা যায়, কয়েকজন র‌্যাব সদস্য ডগ স্কোয়াডের কয়েকটি কুকুর নিয়ে অপেক্ষা করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মেইলকে একজন র‌্যাব সদস্য বলেন, আমরা অনেকগুলো কুকুর নিয়ে এসেছি। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন যখন চাইবে তখন এগুলো নিয়ে যাওয়া হবে।

র‌্যাব সদস্য বলেন, এগুলো মূলত ভবনের ভেতরে কেউ চাপা পড়ে আছে কি না, কেউ বেঁচে আছে কি না সেগুলো শনাক্ত করবে। মরদেহ থাকলেও শনাক্ত করবে। এর বাইরে যদি বিস্ফোরক জাতীয় কিছু থাকে তাও চিহ্নিত করার জন্য ডগ স্কোয়াড আনা হয়েছে।

এদিকে দুপুর ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেইন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা লাইট রেসকিউ (হালকা যন্ত্রপাতি দিয়ে) অভিযান করছি। ডেড বডি লোকেট (শনাক্ত) করার জন্য ডগ স্কোয়াড আনা হয়েছে।

jj2

এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সেনাবাহিনী, সিটি করপোরেশন, রাজউকের ইঞ্জিনিয়ারদের সমন্বয়ে একটি কমিটি হয়েছে। বিল্ডিংটা ঝুঁকিপূর্ণ, এটাকে সাপোর্ট দিতে হবে। তারপর হেভি রেসকিউ একটিভিটিজ চালানো হবে।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে সাততলা একটি ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশের আরেকটি পাঁচতলা ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে সাততলা ভবনের বেজমেন্ট, প্রথম ও দোতলা বিধ্বস্ত হয়। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চমতলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যালয়। সেখানে উদ্ধারকাজ চালায় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।

বিস্ফোরণের পর ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় রাত পৌনে ১১টার দিকে উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়। এই বিস্ফোরণে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। এখনো কয়েকজন নিখোঁজ আছেন।

বিইউ/জেবি