images

জাতীয়

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় গুলিস্তানের বিস্ফোরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৭ মার্চ ২০২৩, ০৬:৩৩ পিএম

রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় বিস্ফোরণের সময় রাস্তার বিপরীত পাশে ছিলেন মো. হাবিব। তিনি বলেন, হঠাৎ বিকট শব্দ শুনি। এরপর পেছনে তাকিয়ে দেখি ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে গেছে চারপাশ। আমার পাশে থাকা কয়েকজনের শরীরেও কাচ, ইট এসে লাগে।

আলতাফ হোসেন নামে একজন বলেন, আমি রিকশায় যাত্রী নামিয়ে মাত্র দাঁড়িয়েছি। এই সময় অনেক জোরে শব্দ হয়। এরপর আমার হাতে কী যেন একটা এসে লাগে। তাকিয়ে দেখি কাচের টুকরা। অল্প রক্ত বের হয়। এরপর তাকিয়ে দেখি চারদিকে অন্ধকার আর মানুষজন দৌড়াচ্ছে।

চা বিক্রতা শারমিন বলেন, ‘এত জোরে শব্দ হইছে যে, আমার কানে তালি লাগে ছিল। এরপর দেখি চায়ের কেটলি পড়ে গেছে। আর ট্রান্সমিটারে আগুনের ঝিলিক দিচ্ছে।’

ক্ষতবিক্ষত একটি বাস রিকশা 

এদিকে বিস্ফোরণে ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি বাস ও রিকশা। বাসটিতে দেখা যায় অধিকাংশ কাচ ভেঙে গেছে। ভেঙে গেছে দরজাও। সেখানে দেখা মেলে রক্তের দাগ।

JJ22

সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বাসটি সরিয়ে নেওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ঠিক সামনেই ছিল বাসটি। আর পাশে একটি রিকশা পড়েছিল মুখ থুবড়ে। সামনের চাকা ভাঙা।

বাসটি ছিল ঠিকানা পরিবহনের। সরিয়ে নেবার সময় চালক বলেন, ‘বাসের চালক কই জানি না। আমাকে স্যাররা (পুলিশ) সরিয়ে নিতে বলল তাই সরাইলাম। আমি আরেকটা ঠিকানা বাস চালাই।’ 

প্রত্যক্ষদর্শী কাওসার আহমেদ বলেন, বিস্ফোরণের সময় সম্ভবত বাসটি আটকে ছিল। বিস্ফোরণের পর ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় চারপাশ। এরপর দেখি যাত্রীরা হুড়াহুড়ি করে বের হচ্ছে। অনেকের শরীরে রক্ত।

রাজধানীর গুলিস্তানে বিআরটিসি কাউন্টারের পাশের ওই ভবনের বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পিএস/জেবি