বোরহান উদ্দিন
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০১:১০ পিএম
তিন বন্ধু, সহকর্মীকে নিয়ে দেশে এসেছেন সফটওয়ার কনসালটেন্ট রাজ ভৌমিক। যাদের মধ্যে ইউহানার জন্ম সুইজারল্যান্ডে। সঙ্গে থাকা বিয়েট্রেসের জন্ম অন্য দেশে হলেও এখন তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিক। আর গ্রেগরি যুক্তরাজ্যের নাগরিক। ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তারাও এসেছেন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে তিন ভিনদেশি বন্ধুকে নিয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন রাজ ভৌমিক। প্রত্যেকের হাতে ছিল ফুল।
শুধু তারাই নন, আরও অনেক ভিনদেশি নাগরিক এসেছেন ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। সবার কণ্ঠে একই সুর লক্ষ্য করা গেছে। তা হলো- ভাষার জন্য এমন আত্মত্যাগ বিরল।
ভিনদেশিরা বলছেন, পৃথিবীতে কোনো ভাষার জন্য এমন আত্মত্যাগ নেই। আবার প্রতি বছর এমন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার ঘটনাও নেই। তাই এমন আয়োজনে এসে তারাও আবেগাপ্লুত।
শহীদ মিনারে কথা হয় ভারত থেকে আসা ২৪ জনের একটি টিমের সদস্যদের সঙ্গে। তারাও বলেছেন, ভালোবাসা ও টান থেকে তারা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন।
ভারতের হুগলি থেকে বাবা-মাকে নিয়ে এসেছেন উপমা ভট্টাচার্য। জানালেন, বাংলা ভাষার জন্য সাবেক সরকারি চাকরিজীবী বাবা ও অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মায়ের টানের কারণে তাদের নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন।
ঢাকায় পরিচিত কেউ না থাকলেও মতিঝিলের একটি হোটেল থেকে শহীদ মিনারে এসেছেন শ্রদ্ধা জানাতে।
উপমার বাবা প্রশান্ত কুমার মিত্র ঢাকা মেইলকে বলেন, বঙ্গভাষার টানে চলে এসেছি। এসে এত মানুষের উপস্থিতি দেখে ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে।
এদিকে যুক্তরাজ্য থেকে আসা ইউহানা বাংলা ভাষায় কিছু কথাবার্তা বলতে পারছেন বলে জানালেন।
ভাঙা ভাঙা গলায় ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, কিছু কিছু বাংলা বলতে পারছি। আরও শেখার চেষ্টা করছি।
২১ ফেব্রুয়ারির আয়োজন দেখে বিস্মিত হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভাষার জন্য ১৯৫২ সালে এ দেশের মানুষ আত্মত্যাগ করেছেন, যা জেনে সত্যি আশ্চর্য হয়েছি। আমরা খুব এক্সাইটেড এবং ইমোশনাল।
পাশে দাঁড়ানো ইউহানার বন্ধু রাজ ভৌমিক বলেন, ওরা সবাই খুব এনজয় করছে। বাংলাদেশে এসে তারা খুব খুশি। বিশেষ করে এখানকার সবুজ পরিবেশ, খাবার সব ভালো লাগছে। সুন্দরবন ঘুরে এসেছি। অপরূপ সুন্দরবন তাদের মুগ্ধ করেছে।
বিইউ/জেবি