পুলিশ লেখকদের নানা বই মিলছে বইমেলায়

প্রতিবারের মতো এবারও বইমেলায় পুলিশ লেখকদের বই পাওয়া যাচ্ছে। মেলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নামে একটি স্টলই খোলা হয়েছে। সেই স্টলে গেলে মিলছে নানা বইয়ের সমাহার। শুধুমাত্র পুলিশের লেখক সদস্যরাই এসব বই লিখেছেন বলে জানা গেছে। 

বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতেই মাঠের উত্তর দিকের সারিতে মনোরম পরিবেশে বুক স্টলটি অবস্থিত। বুক স্টলে বইপ্রেমী পাঠকদের জন্য সুবিন্যাস করে রাখা আছে বিভিন্ন পুলিশ লেখকদের গল্প, উপন্যাস, কবিতা ও ছড়ার জনপ্রিয় বইসমূহ।

ডিএমপি’র বুক স্টলে পুলিশ লেখকদের উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক রচিত গ্রন্থ ‘পুলিশ জীবনের স্মৃতি, স্বৈরাচারের পতন থেকে জঙ্গি দমন’, টুরিষ্ট পুলিশের প্রধান (অতিরিক্ত আইজিপি) হাবিবুর রহমান রচিত ‘চিঠিপত্র: শেখ মুজিবুর রহমান’ এবং এর ইংরেজি সংস্করণ ‘লেটার অব শেখ মুজিবুর রহমান’ , বেদে সম্প্রদায়ের বিলুপ্ত ঠার ভাষা নিয়ে রচিত গ্রন্থ ‘ঠার’, মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ ও নন্দিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান।

পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি এস এম মোস্তাক আহমেদ খান রচিত মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস ‘নক্ষত্রের রাজারবাগ’, অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে-‘নিতিনা’, ‘ছায়াআত্মা’ ও ‘স্বপ্নখুনি’। এছাড়াও, বইমেলায় ছোট বড় মিলিয়ে লেখকের প্রায় ১২৪টি বই রয়েছে।

এছাড়াও রয়েছে, অতিরিক্ত আইজিপি (অবঃ) ফাতেমা বেগমের পেশাগত স্মৃতিচারণ ও অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা বই-আমার পুলিশ হওয়া। পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি মো. তওফিক মাহবুব চৌধুরীর মানুষের কথা বিশ্লেষণ করে সত্য-মিথ্যা বের করার পদ্ধতি নিয়ে রচিত বই-আমি জানি তুমি মিথ্যা বলছ। 

স্পেশাল ব্রাঞ্চের ডিআইজি শামীমা বেগম বিষয়ক প্রবন্ধ-জীবন স্তব্ধ জেগে ওঠে শব্দ। ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুলের পুলিশ সুপার শ্যামল আব্দুল হালিমের ভ্রমণ বিষয়ক বই-বান্দরবানের ঝর্ণা বিলাস। পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান শেলীর সায়েন্স ফিকশন নিয়ে লেখা বই-আমি এলিয়ন।

ডিএমপি জানায়, বইমেলায় পুলিশের বুক স্টল স্থাপন করায় ডিএমপি’র এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকে। তারা মনে করেন এটি পুলিশের একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। 

এমআইকে/এমএইচএম