নিজস্ব প্রতিবেদক
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:৩৫ এএম
ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর তুরস্কে নিখোঁজ দুই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম নুর আলম। তিনি বর্তমানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নুরে আলম সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কনসাল জেনারেল জানান, রিংকু নামের এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তার বাড়ি বগুড়ায়।
নুর আলম ও রিংকু যে ভবনে থাকতেন সেটিও বিধ্বস্ত হয়েছে। পরে নূরে আলম সেখান থেকে বের হয়ে এলেও রিংকুর খোঁজ নেই। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে জানান কনসাল জেনারেল।
এদিকে ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল তুরস্কে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের জরুরি প্রয়োজনে কনস্যুলেটের হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেছে। নাম্বারটি হলো: +৯০৮০০২৬১০০২৬।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ইস্তাম্বুলের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল এক ক্ষুদে বার্তায় এই অনুরোধ জানায়।
কনসাল জেনারেল জানান, দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশের খাহরামানমারাসে ভূমিকম্পে দুই বাংলাদেশি নিখোঁজ হন। তারা হলেন নূরে আলম ও মো. রিংকু। তারা দুজনই শিক্ষার্থী। তারা যে ভবনে থাকতেন সেটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। পরে নুর আলমকে উদ্ধার করা গেলেও খোঁজ মিলছে না রিংকুর।
জানা গেছে, ওই শহরটিতে প্রায় ৫০ জন বাংলাদেশি বসবাস করেন। তাদের কেউ ব্যবসা করেন, কেউ পড়াশোনার জন্য সেখানে অবস্থান করছেন।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ খারমানমারাসের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। এর গভীরতা ভূপৃষ্ঠে থেকে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটারে।
এরপর সোমবার দুপুরে ও বিকালে আরও দুইবার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরমধ্যে তুরস্কের স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরে ৭.৬ মাত্রার তীব্র ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে জানায় তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা প্রেসিডেন্সি (এএফএডি)।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কের পাশাপাশি ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকাও। ধসে পড়েছে হাজার হাজার ভবন। ক্ষণে ক্ষণে উদ্ধার হচ্ছে মৃতদেহ ও আহতদের। নিহতের সংখ্যা প্রায় চার হাজারে পৌঁছেছে। এই সংখ্যা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
জেবি