images

জাতীয়

‘প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায় থেকে কাজ করতে হবে’ 

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:০২ পিএম

আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ডলারে উন্নীত, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায় থেকে কাজ করতে হবে।

সেক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে পাশাপাশি তাদের সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের সম্মেলন কক্ষে জেলাপ্রশাসক সম্মেলন ২০২৩ এর দ্বিতীয় দিনে শিল্প মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চতুর্থ অধিবেশন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

সালমান এফ রহমান বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও একটি টার্গেট দিয়েছেন, তা হলো ২০৪১ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ডলারে যেতে হবে। এই চ্যালেঞ্জ অর্জন বা বাস্তবায়ন সহজ নয়।  

তিনি বলেন, অনেকগুলো দেশ নিম্নআয় থেকে মধ্য আয়ের দেশে গ্রাজুয়েট করেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা ২০২৫ বছর আগে গ্রাজুয়েট করেছে। তারা কিন্তু এরপর নেক্সট ধাপে যেতে পারেনি। আমরা এলডিসি হিসাবেও তাদের চেয়ে ভালো আছি।  

যেসব দেশ এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েট করেছে, হাতে গোনা কয়েকটি দেশ উন্নত হতে পেরেছে জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর ইত্যাদি দেশ উন্নত হতে পেরেছে। প্রধানমন্ত্রী যে লক্ষ্য দিয়েছেন সেগুলো বস্তাবায়ন করতে মাঠ পর্যায় থেকে কাজ করতে হবে। ডিসিদের সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে।

সালমান এফ রহমান বলেন, টার্গেট পূরণে প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের ধারণা দিয়েছেন। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, কোয়ান্টাম কম্পিউটার, অপটিক্যাল ফাইবার এসব প্রযুক্তি যদি আমরা গ্রহণ করতে পারি তবেই টার্গেট অর্জন করা সম্ভব হবে।  

তিনি বলেন, আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তা। প্রধানমন্ত্রী সেটার ওপরও জোর দিয়েছেন। তিনি অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনতে বলেছেন। এই দুটি বিষয় যদি ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ ও ১২ হাজার ডলার মথাপিছু আয় সম্ভব।  

বরিশালে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় ডিসিদের প্রস্তাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, এই মুহূর্তে সারাদেশে অনেকগুলো অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়ে গেছে। সেখানে অনেক জমি খালি পড়ে আছে। সবাই তার এলাকায় একটা অর্থনৈতিক অঞ্চল চায়। আমরা চাই যে কোথায় সেটা যথাযথ হবে। আমরা কৃষি জমিটা আর নষ্ট করতে চাই না।

ডব্লিউএইচ/এইউ